ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্কবার্তা দেয় শরীর,কোলেস্টেরল জমার লক্ষণগুলো চিনুন

২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১৪:১৯:৪২

হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্কবার্তা দেয় শরীর,কোলেস্টেরল জমার লক্ষণগুলো চিনুন

ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হৃদরোগের প্রধান সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে ধমনীর ভেতরে প্লাক তৈরি করে, যার ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হৃদ্‌স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা জানা যায়, যা ভবিষ্যৎ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। সম্ভব হলে তিন মাস অন্তর, নাহলে অন্তত ছয় মাসে একবার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা না করলেও কিছু লক্ষণ দেখা দিলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

কার্ডিওলজিস্ট ড. জেরেমি লন্ডন জানিয়েছেন, চোখের তলায় হলদেটে চর্বি জমা, বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট—এসব সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও আরও কিছু নীরব লক্ষণ রয়েছে, যা অনেকেই গুরুত্ব দেন না।

পায়ের ব্যথা বা ভারী অনুভূতি

ধমনীতে কোলেস্টেরল জমলে পায়ের রক্তনালীতেও রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এর ফলে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (PAD) হতে পারে। এতে পায়ে ব্যথা, শিরশিরানি, ভারী লাগা বা হাঁটতে গেলে পেশীতে ব্যথা হয়।

পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া

রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে পায়ের পাতা ঠাণ্ডা লাগে। অনেক সময় পায়ের নখ পাতলা হয়ে যায় বা রং পরিবর্তন হয়। এটি কোলেস্টেরল বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

সামান্য কাজেও হাঁপিয়ে যাওয়া

রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে সামান্য হাঁটাচলা, দৌড়ানো বা সিঁড়ি ভাঙা কঠিন হয়ে পড়ে। দ্রুত হাঁপিয়ে পড়া কোলেস্টেরল বৃদ্ধির আরেকটি নীরব লক্ষণ।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। দ্রুত শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে হৃদরোগের বড় ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত