ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

তরুণদের মধ্যে বাড়ছে পপকর্ন ব্রেন সিনড্রোম: যেভাবে বুঝবেন লক্ষণ

২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:৩৬:২৫

তরুণদের মধ্যে বাড়ছে পপকর্ন ব্রেন সিনড্রোম: যেভাবে বুঝবেন লক্ষণ

ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন স্ক্রল, শর্ট ভিডিও ও রিলের নেশা ক্রমেই মানুষের মনোযোগ ও আচরণে প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুতগতির কনটেন্ট ব্যবহারের ফলে তৈরি এক ধরনের মানসিক অবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘পপকর্ন ব্রেন সিনড্রোম’। বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা দ্রুত বেড়ে চলছে।

এই অবস্থায় মস্তিষ্কে একের পর এক উত্তেজনার ছোট ছোট ঢেউ তৈরি হয়—যেমন মাইক্রোওয়েভে পপকর্ন ফেটে যাওয়ার মতো। ফলে দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয়, গভীর চিন্তা বা ধীরে কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। মন এক কাজ থেকে আরেক কাজে দ্রুত ছুটে যায়।

লক্ষণদীর্ঘক্ষণ পড়াশোনা বা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা

ফোন ছাড়া সময়গুলো শূন্য বা অস্বস্তিকর মনে হওয়া

ঘুমের মান কমে যাওয়া

সহজে বিরক্ত হওয়া ও কথোপকথনে মনোযোগ হারানো

মন খারাপ, অস্থিরতা ও মনোযোগের ভাঙন

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এ সমস্যা অবহেলা করলে পড়াশোনা, কাজ এমনকি ব্যক্তিগত সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ঝুঁকিতে কারা

অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারকারী কিশোর–তরুণ

যারা একই সঙ্গে একাধিক গ্যাজেটে কাজ করেন

নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ সময় কাটান

কিশোরদের মস্তিষ্ক এখনো বিকাশমান হওয়ায় স্ক্রিন–নেশা তাদের মনোযোগ, ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যে আরো বেশি ক্ষতি করতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়

দৈনিক স্ক্রিন–টাইম সীমিত রাখা ও নোটিফিকেশন কমিয়ে দেওয়া

প্রতিদিন কিছু সময় সম্পূর্ণ ডিজিটাল–ফ্রি রাখা

ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ন, হাঁটাহাঁটি বা বই পড়া

প্রযুক্তি ব্যবহার করা, কিন্তু নিজের নিয়ন্ত্রণে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘পপকর্ন ব্রেন’ এখনো চিকিৎসাজনিত রোগ নয়, তবে এটি আধুনিক জীবনযাপনের একটি চ্যালেঞ্জ। সচেতন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই এ সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত