যে কারণে বাংলাদেশের নায়িকারা এত মোটা
এমন প্রশ্ন দেখে পরিচালক হয়তো বলবেন, মোটা হলেই কী তারা মানুষ না। না ভাই, তারা মানুষ না, তারা সেলিব্রিটি। একটি নাটকে লাক্স তারকা বাঁধনকে দেখে তো চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার অবস্থা। আবার ঊর্মিলাকে তো মনে হচ্ছে, বাঁধনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে মোটা হয়েছেন। ভাবনার কথা না বললেই চলে। এদের বেশ কয়েকটি নাটক দেখে অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়া নায়িকাদের সমালোচনা করেছেন।
যারা নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে এতটুকু সচেতন না, তারা আবার সেলিব্রিটি হয় কী করে? এর চেয়ে তিশা, মম, প্রভা অনেকটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। একটি চলচ্চিত্রে নায়িকার প্রাধান্য তেমন একটা না থাকলেও নাটকে কিন্তু নায়িকার গুরুত্ব বেশি দেখা যায়। এবারের ঈদের নাটকেও এ প্রবণতা দেখা গেছে। বিশেষ করে মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, অপূর্ব, মিশু সাব্বির, আরফান নিশোর নাটকগুলোয় নায়কের প্রাধান্য দেখা গেছে।
এ ছাড়া প্রায় সব নাটকেই নায়িকাকেই বেশি দেখানো হয়েছে। এবারও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিশা। কিন্তু অভিনয়ে ঘুরেফিরে সেই মুখই দেখতে হচ্ছে। নাটকের গল্পে যেমন বৈচিত্র্য নেই। তেমনি অভিনয়শিল্পীদের মধ্যেও নতুনরা তেমন ছাপ রাখতে পারেননি। নাটক দেখলে মনে হয়, নতুন শিল্পীদের বড়ই অভাব আমাদের। আবার যারা নতুন শিল্পীদের নিয়েছেন, তাদের চরিত্রগুলো নিয়ে আরও ভাবা উচিত ছিল। মানুষ বছরজুড়ে টিভিতে খবরই দেখে বেশি। শুধু ঈদের সময় নাটক কিংবা অনুষ্ঠানের দিকে নজর দেয়। সেই সময়েই নির্মাতাদের কারিশমা দেখানোর উপযুক্ত সময়। কিন্তু এখানেই ব্যতিক্রম।
ঈদের আগে তাড়াহুড়া করে নাটক নির্মাণের হিড়িক পড়ে। তাতেই দেখা দেয় বিপত্তি। নাটক বানানোর পর এডিটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অথচ ঈদের অধিকাংশ নাটকের এডিটিং খুবই বাজে। শব্দগ্রহণও খুব নিম্নমানের। অনেক নাটকের সংলাপ বুঝতে খুবই কষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে টিভি চ্যানেলগুলোকেও সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। ঈদের আগে নির্মাতাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া প্রয়োজন। টিভি চ্যানেল সময় কতটুকু দেয়? সেই প্রশ্নের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্মাতাকে সময় নিয়েই নির্মাণে যেতে হবে। তা না হলে শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা করে নাটক বানালে এই অবস্থা সামনে আরও খারাপের দিকেই যাবে।