অক্সফোর্ডের টিকা : দুই ডোজে করোনার শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ প্রয়োগ করলে প্রাণীর শরীরে অধিকতর শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
ভ্যাকসিনটির নাম ‘এজেডডি১২২২’। অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা জানার জন্য মাস দুয়েক আগে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিনটি মানব শরীরে প্রয়োগ করা হয়। বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিনটি আগামী অক্টোবরে বাজারে আসবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয় শূকরের দেহে। তাতে দেখা গেছে, দুটি ডোজ প্রয়োগের ফলে শূকরের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। প্রথম ডোজকে বলা হচ্ছে ‘প্রাইম’। আর দ্বিতীয় ডোজের নাম ‘বুস্ট’। অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রেই দুটি ডোজ প্রয়োগ করা হয়। হাম, রুবেলা ও শিশুদের নিউমোনিয়া টিকার ক্ষেত্রে দুটি ডোজ দেয়া হয়।
তবে ‘এজেডডি১২২২’ পরীক্ষামূলকভাবে মানব শরীরে প্রয়োগ হলেও এর কার্যকারিতা এখনো প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণে এই টিকার উৎপাদন শুরু করেছে ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’।
‘এজেডডি১২২২’ তৈরির সংশ্লিষ্ট একজন বিজ্ঞানী অধ্যাপক আদ্রিয়ান হিল জানান, অক্টোবরে ভ্যাকসিনটি বাজারে আসতে পারে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, ২০২১ সালের আগে কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব নয়।
এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মতে, ভ্যাকসিনটি এক বছরের জন্য সুরক্ষা দেবে। তবে এর পক্ষে বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই। ফ্লু জাতীয় অন্যান্য রোগের টিকা সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে।