ব্লু-হোয়েল সর্ম্পকে আক্রান্ত তরুণের চাঞ্চল্যকর তথ্য
কারণ গেমটার মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয় থাকতো। চ্যালেঞ্জিং বিষয় গুলো যদি না পূরণ করতে পারতাম তাহলে এডমিন অনেক লজ্জা দিতো। আর জিদের বসে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমি পূরণ করতাম।
আক্রান্ত কিশোর আরও জানান, সম্পূর্ণ গেমটি কন্ট্রোল করে একজন এডমিন। আমার ধারণা সে একজন সাইকো। গেমটি খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে এসে এডমিন ফ্যামিলির সকল তথ্য নিতো। অনেক পার্সোনাল বিষয় কথার ছলে যেনে নিতো, এবং একটা সময় এসে ব্লাকমেইল করে। এই গেমটি খুবই বাজে। আমি এইখান থেকে সরে আসছি। আমি চাই আমার মত আরো যারা আছে, তারা সবাই যাতে এই গেম থেকে ফিরে আসে। কারণ এই গেম যারা খেলবে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং মৃত্যু নিশ্চিত।
তৌফিকের বাবা তাঞ্জিল ইসলাম জানান, আমি সারাদিন অফিস শেষ করে এসে দেখতাম আমার ছেলে সারাদিন একা একা থাকতো। কারো সাথে মিশতো না। আমি মানসিক ভাবে ওকে নিয়ে চিন্তায় থাকতাম। আল্লাহ আমার ছেলেকে বাচাইছে।
ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিনহাজ আহমেদ বলেন, ফ্যামিলিতে একা একা থাকার কারণে ওর (তোফিক) এই অবস্থা। সবসময় মানুসিক একটা চাপে মনে হয় ও থাকতো। আমরা এখন মানুসিক ডাক্তার ওকে দেখাবো তারপর বলা যাবে ওর অবস্থা।