| ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মিডিয়ায় ‘সৌন্দর্য কথা’ কি কেবল নারীদের জন্যই?

বিনোদন ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ জুলাই ৩০ ০১:০২:০০
মিডিয়ায় ‘সৌন্দর্য কথা’ কি কেবল নারীদের জন্যই?

অভিনেতা ও উপস্থাপক নাজিম শাহরিয়ার জয়ের উপস্থাপনা ও আবদুস সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এবারে অতিথি ছিলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। জয়ের চৌকস উপস্থাপনা এবং ফারিয়ার বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথনে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত ও উপভোগ্য।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম ফারিয়ার চলচ্চিত্র জগতে সতর্ক পদচারণা ও ভিন্নধর্মী কর্ম পরিকল্পনার কথা। তিনি অভিনয়জীবনের গোড়াতেই তাঁর নিয়ন্ত্রণ ও নীতিনির্ধারণের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি তাদের নির্দেশনা ও পরিচালনা মেনে চলছেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একজন নবীন অভিনেত্রীর জন্য এটি অভিনব। অভিনয়ের পাশাপাশি ফারিয়া যে গানও করেন, সেটিও বের করে এনেছেন উপস্থাপক। ফারিহা বেশ বাকপটু। তবে তাঁর বড় রকমের একটি দুর্বলতা চোখে পড়েছে তা হলো, কৃত্রিমতা। তাঁর উচ্চারণ ও উপস্থাপনা বেশ কৃত্রিম। যে কারণে মাঝে মাঝেই তাঁর কথাগুলো হচ্ছিল অস্পষ্ট ও আবেদনশূন্য। পাশাপাশি জয়ের উপস্থাপনায় কৃত্রিমতার লেশমাত্রও অনুপস্থিত। যে কারণে তাঁর উপস্থাপনা হয়ে উঠেছে প্রাঞ্জল ও ক্ষুরধার। আর জয়ের হিউমার এতই সুনিয়ন্ত্রিত ও উপভোগ্য, যে কারণে অনুষ্ঠান দেখার পর মনে হয় এর নামকরণ ‘সেন্স অব হিউমার’ হয়েছে যথার্থ ও সার্থক।

২০ জুলাই রাত ৯টায় অভিনেত্রী নোভার উপস্থাপনায় বাংলাভিশনে প্রচারিত হলো রূপচর্চা ও সৌন্দর্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘সৌন্দর্য কথা’। সৌন্দর্যবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ অনুষ্ঠানটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। অনুষ্ঠানে এবারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী লিজা। অনুষ্ঠানের শুরুতে এবং শেষে উপস্থাপিকা সৌন্দর্যবিষয়ক বেশ কিছু টিপস দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে সেলিব্রেটি কোনো অভিনেত্রী বা সংগীত শিল্পীর পছন্দ-অপছন্দ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা তুলে ধরার মাধ্যমে নির্মাতা ও উপস্থাপিকা দর্শকদের রুচিবোধ ও সৌন্দর্যবোধকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। যেমন শিল্পী লিজা উজ্জ্বল রঙিন পোশাক পছন্দ করেন। কিন্তু ভারী গয়না বা ভারী মেকআপ পছন্দ করেন না। লিজার কথকতা ও উপস্থাপনাও ছিল পরিণত এবং আকর্ষণীয়। পাশাপাশি উপস্থাপিকা নোভাকে বরং ম্লান মনে হচ্ছিল। নোভার উপস্থাপনা সাবলীল। কিন্তু আকর্ষণীয় মনে হয় না। উচ্চারণ ও মুখভঙ্গির কারণে কিছুটা আনাড়ি আনাড়ি মনে হয়।

অনুষ্ঠানটি দেখে আরেকটি কথা মনে হয়েছে, ‘সৌন্দর্য কথা’ কেবল নারীদের জন্যই কেন? পুরুষের কি কোনো সৌন্দর্য কথা নেই। নাকি পুরুষের সৌন্দর্যের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা আশা করি নারীর পাশাপাশি পুরুষের সৌন্দর্য কথাও এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। আমাদের প্রত্যাশা, অনুষ্ঠানসংশ্লিষ্ট নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ভবিষ্যতে বিষয়টি গুরুত্বসহ ভেবে দেখবেন।

এবারে আসি নাটক প্রসঙ্গে। ২২ জুলাই রাত ৯টায় বিটিভিতে ইলন সফির প্রযোজনায় প্রচারিত হলো এ সপ্তাহের নাটক বনমল্লিকা। এতে অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান, হোমায়রা হিমু, ডলি জহুর, মাহমুদ সাজ্জাদ, ফেরদৌসী লীনা প্রমুখ।

নাটকটির গল্প সংক্ষেপে এ রকম—পিতৃ-মাতৃহারা শিশু বন মল্লিকাকে বন থেকে কুড়িয়ে আনে পারুর বাবা ও মা। এরপর পারু ও মল্লিকা বড় হয় দুই সহোদরা বোনের মতোই। পারু শহরে উচ্চশিক্ষা নেয় আর মল্লিকা গ্রামে বড় হয়ে গ্রামের শিশুদের শিক্ষা দেয়। শহুরে পারুর সঙ্গে শহরেই ঘনিষ্ঠতা ও প্রেম হয় রানার। একই গ্রামে তাদের বাড়ি ও বেড়ে ওঠা। কিন্তু রানার বাবা কিছুতেই তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারে না। পারু হঠাৎ ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এতে পাগল হয়ে যায় রানা। এরপর রানার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে মল্লিকা। তারপর মল্লিকাকেই সে আঁকড়ে ধরে। দুজন হাত ধরাধরি করে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যায়। নেপথ্যে গান বেজে ওঠে, ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি’।

প্রথমেই বলে নিই, বিটিভির অন্য পাঁচটি নাটকের চেয়ে এ নাটকটি ছিল বেশ পরিচ্ছন্ন ও রুচিসম্পন্ন। কিন্তু তার পরও মনে হয়েছে কিছু কিছু বিষয়কে যেন লেখক ও নির্মাতা যৌক্তিক করে তুলতে পারেননি। যেমন এ যুগে শহুরে পারুর ক্যানসার ধরা পড়েছে, অথচ তা কেউ জানল না এবং তার চিকিৎসাও হলো না, এটা অযৌক্তিক। দ্বিতীয়ত, রানার বাবা কেন পারু ও মল্লিকাদের পছন্দ করে না, তারও সুস্পষ্ট কোনো কারণ তুলে ধরেননি লেখক ও নির্মাতা। তা ছাড়া পারুর মৃত্যুদৃশ্য অহেতুক দীর্ঘ করা এবং মৃতদেহের পাশে বসে রানার কাঁদতে কাঁদতে হাসা, বড়ই সেকেলে মনে হয়েছে। আরও অযৌক্তিক মনে হয়েছে, পারুর মৃত্যুর পর তাদের বাড়িতে রানার স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়া। পারিবারিক এবং সামাজিক কোনো দিক থেকেই এটি যুক্তিপূর্ণ মনে হয়নি। এমনি ছোট ছোট আরও অনেক বিষয়ই মনে হয়েছে অযৌক্তিক। শেষে আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যায়। যেমন দেখানো হয়েছে, মল্লিকা মাঝে মাঝে তার শৈশবের বনের জীবনের কথা স্মরণ করে। নাট্যকার ও নির্মাতা বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিলেন, মল্লিকাকে যখন বন থেকে তুলে আনা হয়, তখন সে কোলের শিশু। স্মৃতিচারণ করার মতো স্মৃতি তখন তার থাকার কথা নয়।

বিটিভির আরেকটি সীমাবদ্ধতার কথা আমরা আগেও বলেছি, অনুষ্ঠান শুরুর পর তার নাম এবং নাট্যকার ও নির্মাতার নাম স্ক্রলে দেখানো হয় না। বেসরকারি চ্যানেলগুলোর কাছে শিক্ষা নিয়ে এটি দেখানো হলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না; বরং দর্শকদের জন্য তা হবে সহায়ক।

ক্রিকেট

বিশ্বকাপ সহ-অধিনায়ক, অবাক হয়ে যা বললেন তাসিকন

বিশ্বকাপ সহ-অধিনায়ক, অবাক হয়ে যা বললেন তাসিকন

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণাও কম বিতর্কিত ছিল না। অবশেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি ...

সাকিবের  ৯, মাহমুদউল্লাহর ৮, বিশ্বকাপ ১৫ সদস্যে থাকা বাকিদের কার কত

সাকিবের ৯, মাহমুদউল্লাহর ৮, বিশ্বকাপ ১৫ সদস্যে থাকা বাকিদের কার কত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা বাজছে আরও আগে থেকে। এখন কেবল পর্দা ওঠার অপেক্ষা। আগামী ২ জুন ...

ফুটবল

বায়ার্ন কি পারবে রিয়ালকে বধ করতে?

বায়ার্ন কি পারবে রিয়ালকে বধ করতে?

চ্যাম্পিয়নস লিগেরগের সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মে ৯ তারিখ রাত ১ টায় মুখোমুখি হবে ক্লাব ...

কোপা আমেরিকার আগে বড় ইনজুরি মেসি সহ দুই বিশ্বকাপজয়ী তারকা খেলোয়াড়

কোপা আমেরিকার আগে বড় ইনজুরি মেসি সহ দুই বিশ্বকাপজয়ী তারকা খেলোয়াড়

জুনের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। তবে এবারের অনুষ্ঠানটি শুধু ...



রে