হঠাৎ করে বাংলাদেশের কি হয়েছে?
আইরিশ ওপেনার বালবির্নি দলের জন্য সেটাই করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের দেয়া ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরকে পাত্তাই দেননি তিনি। শরিফুল,খালেদদের তুলোধোনা করে ১৪৪ বলে করেন অপরাজিত ১৬০ রান।
৮৯ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তিন নম্বরে নামা ম্যাকব্রাইন। টাইগার বোলাররা কোন রকম সুযোগ না দিয়েই তিন ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই সাজঘরে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। এর আগে ব্যাটিংয়েও শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ এ দল। হঠাৎ বাংলাদেশের কি হলো?
মিজানুর, জাকিররা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ম্যাচের ফর্ম ধরে রাখতে পারেনি মমিনুল। এদিন তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন মিথুন। ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া ফজলে রাব্বির ৭৪ এ ভর করে স্কোর বোর্ডে ২৭৩ রানের মূলধন দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
এরপর বাকি দায়িত্ব ছিল বোলারদের। বিশেষ করে পেসারদের আইরিশ কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখবে, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠে নি। সানজামুল, খালেদ ও সাইফুদ্দিনদের বোলিংয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার কথা টিম ম্যানেজমেন্টের।
৯ ওভার বোলিং করে ৬৭ দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন সাইফউদ্দিন। একই অবস্থা খালেদের, ৭ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে তিনিও কোন উইকেট অর্জন করতে পারেননি। আরেক পেসার শরিফুলও সুবিধে করতে পারেনি।
আর পুরো সিরিজ জুড়েই বিবর্ণ ছিলেন স্পিনার সানজামুল। শেষ ম্যাচে এক উইকেট নিয়েও ১০ ওভারে রান খরচা করেছেন ৫৬। বলা চলে, এই সিরিজে বাংলাদেশ এ দলের বোলারদের পারফর্মেন্স ক্রিকেট কর্তাদের চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াবে।