২ টি লঘুচাপ একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা!
![২ টি লঘুচাপ একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা!](https://www.sportshour24.com/article_images/2024/05/15/20240515_113151.jpg)
চলমান মাঝারি তাপপ্রবাহ ৪২টি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আরও প্রসারিত হতে পারে। বৃষ্টিপাত পুরোপুরি কমে যাওয়ায় সারাদেশে তাপমাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৫ মে) পর্যন্ত প্রচণ্ড তাপ অব্যাহত থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি কমার এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা আগামী শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এই তাপপ্রবাহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আগামী রবিবার থেকে আবার বৃষ্টিপাতের সাথে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। মঙ্গলবার (১৪ মে) নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া মংলা বাগেরহাটে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বাইরে কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টি ছিল না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় মূলত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ১৯ মে থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা কমা শুরু করবে। চলতি মৌসুমে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৬ মে পর্যন্ত দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ।
দেশের ইতিহাসে একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বড় রেকর্ড এটি। ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ছয় দিন কোথাও তাপপ্রবাহ ছিল না। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সোমবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা আবার বেড়েছে। মে মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে।
যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করতে পারে। তবে উজানে ভারী বর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপরে যেতে পারে।