আমার সাথে সাকিবের এক মুহূর্তে যা ঘটেছিল
সারাবিশ্বে লক্ষ্যকোটি ভক্তের মাঝে কিছু ভক্তের সাথে সামান্য দুর্ঘটনায় অতীতের সাফল্য জয়গাথাঁ মাঝেমধ্যেই ফিকে হয়ে যায়। শুরু হয় বির্তক। চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার প্রবাহমান স্রোত ধারা। এর মাঝেও তাদের মধ্যে যে অসম্ভব মানবিকতার গুণ, ব্যক্তিত্বের গুণাবলী, ভক্তদের প্রতি তাদের ভালবাসাও কম যায়না। তাও প্রকাশ পায় তাদের ফ্রেমেবাধাঁ জীবনের ডায়রিতে।
সাকিব আল হাসান তিনি তো একজন মানুষ, একজন ক্রিকেটার। তারও আছে জীবনকে তার মত করে চলার স্বাধীনতা। দেশের জন্য তারা খেলেন। দেশের পতাকা তুলে ধরেন বিশ্বের বুকে। এবার আসা যাক একজন ভক্তের এক মুর্হুতের সেই দিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ।
ঘটনাটা সম্ভবত ২০১০ সালের। আমার একটা ছোট গুণ তা হল রাস্তায় চলার সময় জনপ্রিয় ব্যক্তিদের খুব সহজেই চোখে পড়ে। কেন তা হয়ত অজান্তেই। আর দেখা মাত্রই ওই ব্যক্তির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে করতে কোন দ্বিধা করিনা। আমি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তখন পল্টনে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। আমার অফিস আওয়ার শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি ফিরছিলাম। সম্ভবত বিকেল ৫ টার পর রাজধানীর পল্টন গ্রেন্ড আজাদ হোটেলের পাশ দিয়ে বায়তুল মোকারম মসজিদের দিকে ছুটছি। এমন সময় মুহূর্তেই চোখে পড়ল বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের দিকে। তিনি সম্ভবত ফিরছিলেন গ্রেন্ড আজাদ হোটেলের দিকে। তার পরনে ছিল ট্রাওজার ও দলীয় ব্রাণ্ডের গেঞ্জি পড়া। একদম সাধারণ মানুষের মতই হাঁটছেন।
আমি দ্রুত তাকে মুর্হুতের মধ্যে আমার ভালবাসা ও ভক্ত হৃদয়ের আকুল অনুভূতি প্রকাশে অস্থির হয়ে গেলাম। চোখের পলকে তাকে ছালাম দিলাম। সাথে সাথে সাকিব হয়ত বুঝে উঠতে না পেরে ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ১০ ফুটের অধিক রাস্তা অতিক্রম করলেন। এরপর তিনি পেছন ফিরে তাকালেন হয়ত তথন ভাবছেন কেউ হয়ত তাকে কিছু একটা বলছে। যে পথ চলে গেলেন ঠিক সেই পথ তিনি আবার ফিরে আসলেন আমার দিকে। আমি তাকে আবার সালাম দিলাম। সালামের উত্তর দিলেন। হাতে করমর্দন করলেন। হাসিমুখে ভক্তের হৃদয় জয় করলেন। আমার হৃদয় তার প্রতি ভালবাসায় সিক্ত হল। একজন দেশসেরা ক্রিকেটারে প্রতি আমার ভালবাসা অনন্তকাল থাকবে। তার ব্যবহারে সেইদিন আমি দারুণভাবে মুগ্ধ হলাম। নেই কোন অহংকার, নির্মল আনন্দ, রক্তিম ভালবাসা। জয়তু ক্রিকেট, ক্রিকেটার এবং সাবাশ বাংলাদেশ।
সাকিব ভক্ত