হাথুরুর মত বাংলাদেশ দলে যে স্বাধীনতা পাচ্ছে নতুন কোচ
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই প্রবণতা আবার একটু বেশিই। বর্তমান শ্রীলঙ্কান কোচ ও সাবেক বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোচের পাশাপাশি নির্বাচকের ভূমিকাও পালন করতেন। এটি অবশ্য হয়েছিল হাথুরুসিংহের ইচ্ছাতেই। আর তাই বাংলাদেশ থেকে ‘লোভনীয় প্রস্তাব’ পেয়ে নিজ দেশে গিয়েই হাথুরুসিংহে ফলিয়েছেন একই থিয়োরি।
তবে সাবেক এই লঙ্কান ক্রিকেটার নন, খবরের শিরোনাম এখন স্টিভ রোডস। আর তার কারণ, হাথুরুসিংহের মত তিনিও পাচ্ছেন দল নির্বাচনে ভূমিকা রাখার অধিকার। অর্থাৎ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান কোচের ভূমিকাও থাকছে নির্বাচক হিসেবে।
২০১৬ সালে প্রথম দল হিসেবে দ্বিস্তরভিত্তিক নির্বাচক প্যানেল গঠন করে বিসিবি। প্রথম স্তরের প্যানেলে প্রধান নির্বাচককে নিয়ে দুই নির্বাচক তো রয়েছেন, দ্বিতীয় স্তরে দলের ম্যানেজার আর কোচের সাথে ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। কোচ বদলে নতুন মুখ এলেও বিসিবি ভরসা রাখছেন সেই ব্যবস্থাতেই।
এ প্রসঙ্গে নিশ্চিত করেছেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আগে যা ছিল, সেই পদ্ধতিই থাকছে। নির্বাচন পদ্ধতি যা ছিল, একটা কমিটি থাকবে যেটির প্রধান থাকবেন ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান আকরাম খান। পাশাপাশি কোচ, ম্যানেজার এবং নির্বাচকদের কম্বিনেশনে হবে।’
তবে একাদশ সাজাতে বড় ভূমিকা থাকে অধিনায়কেরও! এমন কথায় বিশ্বাস করা সমর্থকদের জন্য হয়ে উঠতে পারে কষ্টসাধ্য। তবে বোর্ড সভাপতির দাবি এমনই।
তিনি বলেন, ‘এখানে মনে রাখতে হবে, কোন ধরণের খেলা, কী ধরণের পিচ, কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে, এসব কোচ বলে দেবে। নির্বাচকরা তার পর দল নির্বাচন করে পাঠাবে। চূড়ান্ত একাদশ কিন্তু অধিনায়কের। ওখানে নির্বাচক বা আমাদের কিছু বলার নেই। সেরা একাদশ মূলত অধিনায়ক আর কোচ ঠিক করবেন।’