এবার সন্ত্রাসী প্রচারণা রোধে কি ব্যবহার করেছে ফেসবুক
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে এ কথা জানিয়েছে সোশাল মিডিয়ার এ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান। ফেসবুকের বৈশ্বিক পলিসি ম্যানেজমেন্ট পরিচালক মনিকা বিকার্ট ও সন্ত্রাসবিরোধী পলিসি ম্যানেজার ব্রায়ান ফিশম্যান ওই পোস্টে বলেন, ‘আমরা জানি আরও ভালোভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব- বিশেষ করে ফেসবুকে সন্ত্রাসী কনটেন্টের বিস্তৃতি থামাতে এআই ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এআইয়ের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও ইতিমধ্যেই এটি ফেসবুক থেকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী প্রচারণা ও অ্যাকাউন্ট দূরে রাখার রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত পদ্ধতি পাল্টে দিচ্ছে। আমরা চাই ফেসবুক সন্ত্রাসীদের জন্য একটি প্রতিকূল জায়গা হোক।
’ এ ধরনের প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো অন্যান্য ওয়েব সার্ভিস থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি মুছে ফেলার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ফেসবুক এটির অন্যান্য সম্ভাব্য সুস্পষ্ট ব্যবহার বের করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধু ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কোনো আপত্তিকর কন্টেন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে তা সরিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহার করতো। ফেসবুকসহ অন্যান্য ইন্টারনেট কোম্পানি সরকার থেকে সন্ত্রাসী প্রচারণা ও সন্ত্রাসী রিক্রুট করা ম্যাসেজ চিহ্নিত করা ও ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে আছে। সরকারি কর্মকর্তারা ফেসবুককে জরিমানা করা ও ব্যবহারকারীদের পোস্ট সম্পর্কিত যে আইনি বৈধতা ফেসবুকের রয়েছে তা উঠিয়ে নেয়ার হুমকিও দিয়েছে। উল্লেখ্য, ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি।
ফেসবুকের আইনি বৈধতা উঠিয়ে নিলে ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর প্রত্যেক পোস্টের দায়ভার ফেসবুকের ওপর বর্তাবে। এআই ব্যবহারের ঘোষণা দেওয়ার সময় ফেসবুক সরকারি চাপের কথা উল্লেখ করেনি। তবে তারা স্বীকার করেছে, ‘সমপ্রতি উঠতি সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।’ ঘোষণাটিতে বলা হয়, ফেসবুক ‘ওইসব প্রশ্নের উত্তর সরাসরি’ দিতে চায়। আর তারা এ বিষয়ে একমত যে, অনলাইন সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র বা প্রচারমাধ্যম হয়ে ওঠা উচিত নয়। এআই ছাড়াও সন্ত্রাসবাদের ‘প্রশংসা করেছে বা সন্ত্রাসী সংস্থার সমর্থন করেছে’ এমন সরিয়ে ফেলা ফেসবুক পোস্ট থেকে ‘টেক্সট-ভিত্তিক সিগনাল’ তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সিগন্যাল ব্যবহার করে ভবিষ্যতে একই ধরনের পোস্ট চিহ্নিত করা যাবে।