‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা মর্যাদা নিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই’
প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে অনশন করছেন তারা। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে ২৩ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই অনশনে বসেছেন শিক্ষক মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের এক দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো শিক্ষক খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে অনশন যোগ দিয়েছেন। শিক্ষকরা শহীদ মিনারের পদদেশে অবস্থান করে তাদের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষক ফ্রন্টের সভাপতি ইউএস খালেদা আক্তার বলেন, ‘এর আগে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। আমরা বৈষম্যের শিক্ষার। দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ করা হয়নি। এবার আমরা দাবি আদায় না করে ফিরে যাব না।’
প্রায় দশ হাজার শিক্ষক এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন এবং শনিবার দিবাগত রাতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার শিক্ষক শহীদ মিনার এলাকায় খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সময় কাটিয়েছেন। শীতে জবুথবু হয়ে কেউ পেপার বিছিয়ে পলিথিন টানিয়ে পাতলা কম্বল কিংবা চাদর জড়িয়ে রাত পার করেছেন তারা।
১৯৭৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেডে মাত্র এক ধাপ পার্থক্য ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে এসে এই পার্থক্য হয়ে যায় দুই ধাপ। আর ২০১৪ সালে সেটা বেড়ে তিন ধাপ পার্থক্য সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে উন্নীত হলেও সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডেই রয়ে গেছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন তথ্য ও যুক্তি তুলে ধরে অনশনরত শিক্ষকরা বৈষম্য কমানোর দাবি জানাচ্ছেন।