ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সংসদ এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান

২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৭:২৯:৪৬

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সংসদ এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুক্রবার দুপুরে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বিকেলেই ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। সংঘর্ষ থেমে গেলেও পুরো এলাকাজুড়ে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংঘর্ষের সূচনা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটেদুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে, সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটে অবস্থান করা ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ সংসদ ভবনের বাইরে অবস্থান করছিল, আরেক অংশ ভেতরে “জুলাই সনদ” স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিল।

একপর্যায়ে বাইরে থাকা বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ১২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে, ফলে ভেতরে থাকা অংশটিও বাইরে চলে আসে। এরপর শুরু হয় তীব্র সংঘর্ষ — আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও চেয়ার নিক্ষেপ করে, পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

আগুন, ইটপাটকেল ও ভাঙচুরসংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা সংসদ ভবন সংলগ্ন রাস্তায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সেনাবাহিনীর অবস্থানদফায় দফায় সংঘর্ষের পর বিকেল ৩টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও মিরপুর রোডের সংযোগস্থলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, সেনাসদস্যরা সড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছেন এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে পুরো এলাকা জুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়াসংঘর্ষের পর ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সংসদ ভবন এলাকা ছেড়ে ধানমন্ডি ২৭ ও আসাদ গেটের দিকে সরে যায়। বর্তমানে এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পরিস্থিতি পুনরায় অস্থির না হয়।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত