ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ২৩:০২:০০

ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

সম্প্রতি একজন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির আত্মহত্যার পরে তার পরিবার চল্লিশা সম্পন্ন করতে আবারও ঋণ নিয়েছে—এই ঘটনাকে ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব ও সমাজের আর্থ-সামাজিক অসংগতির প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান ও অর্থনৈতিক প্রণোদনার দায়িত্বশীলতা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সংবাদবিবরণ

সম্প্রতি একটি ঘটনায় একজন লোক ঋণের বোঝায় আত্মহত্যা করেন; এরপর তার পরিবার আত্মীয়-পরিজন ও সামাজিক আচরণ মেনে চল্লিশা অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে নতুন করে ঋণ নেয়—এই চিত্রটি সমাজে ইসলামিক শিক্ষার অভাব ও অনুচিতরূপে ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ব্যাখ্যা করেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, “ঋণের ভারে যিনি আত্মহত্যা করলেন, ঋণ করে তার চল্লিশা করা হলো। দ্বীনি শিক্ষার অভাব এবং দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞতা যে কতটা নির্মম হতে পারে, এই ঘটনা তা আবারও প্রমাণ করল।”

তিনি আরও বলেন, “ইসলাম অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাকৃতিক ধর্ম। ইসলাম যতগুলো আর্থিক ইবাদত নির্ধারণ করেছে, সবই সামর্থ্যবানদের জন্য। কিন্তু চল্লিশা নামের যে কুসংস্কার—we've forced it into একটি বাধ্যবাধকতা হিসেবে—অনেকে এমনভাবে এটিকে পালন করা হচ্ছে যে মানুষ নিজের অর্থিক সামর্থ্যও হারাচ্ছে। কখনও কখনও লোকেরা ঋণ করে এমন অনুষ্ঠান চালায়, যা শেষমেষ তাদের নিঃস্ব করে দেয়।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “অভিশপ্ত সুদ কিভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে দরিদ্রকে আরো নিঃস্ব বানাচ্ছে—এই ঘটনার মধ্যেই তার এক উদাহরণ দেখা যাচ্ছে। ঋণের চাপে একজন মানুষ এমন অন্ধকারে ঢুকতে পারে যে তিনি জীবনজান দিতে বাধ্য হন—এটি আমাদের সকলের জন্য প্রশ্নবোধক।”

তিনি উপরন্তু তুলে ধরেন যে, “লোকটি ঋণে জর্জরিত হয়ে মারা গেছেন। আর আজকাল সুদবিহীন ঋণও অনেক ক্ষেত্রে সোনার হরিণে পরিণত হচ্ছে—ব্যান্তিকায় লোকেরা সহজভাবে ধার নিচ্ছে, পরে তা তাদের ধ্বংস করছে।”

সংবাদে বলা হয়, শায়খ আহমাদুল্লাহ শেষ পর্যন্ত মন্তব্য করেন, “এজাতীয় ঘটনা যদি দুই দিন পর পর ঘটে, তাহলে এ কথা স্পষ্ট—দ্বীনের সঠিক শিক্ষা ও ইসলামী অনুশাসন ছাড়া প্রকৃত সুখ-শান্তির ঠিকানা আমরা কখনোই খুঁজে পাব না।”

প্রাসঙ্গিক মন্তব্য/প্রস্তাবনা (সম্পাদকীয় টোন)

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন—ঋণগ্রস্ততা ও সামাজিক বন্ধনে চাপের সমাধান হতে পারে—সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাযুক্তিক আর্থিক শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঠিক দিকনির্দেশনা। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সহজ ঋণ পুনর্গঠন, মাইক্রো-ফাইনান্সের নীতি-সংশোধন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যেন আর্থিক বোঝা না হয়ে মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করার জন্য সমাজে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত