ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সেই দিন আল্লাহর নামে শপথ করে যা বলেছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৬:২২:৫১

সেই দিন আল্লাহর নামে শপথ করে যা বলেছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০১৩ সালে রায় ঘোষণার আগে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আদালত অনুমতি দিলে তিনি দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং তদন্ত ও অভিযোগ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন।

নিজ সম্পর্কে আদালতে সাঈদীর বক্তব্য

বক্তব্যের শুরুতে সাঈদী নিজেকে দেশের পরিচিত ধর্মীয় বক্তা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, তদন্ত প্রতিবেদনে যে নাম বা পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে, তা তার প্রকৃত পরিচয় নয় এবং তাকে ভিন্ন পরিচয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ—এমন দাবি

আদালতের উদ্দেশে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের রিপোর্টে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।তার দাবি, মামলার সাক্ষ্য, তথ্য ও বর্ণনায় অসঙ্গতি রয়েছে এবং এগুলোর ভিত্তিতে তাকে জড়ানো হয়েছে।

ধর্মীয় শপথ ও নৈতিকতার আহ্বান

পুরো বক্তব্যজুড়ে তিনি বারবার আল্লাহর শপথ করে নিজের নির্দোষতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে মিথ্যা করা তার পক্ষে সম্ভব নয় এবং তদন্তের পুরোটাই তার ভাষায় “ভুল, বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।

দুই ধরনের বিচারের কথা উল্লেখ

সাঈদী বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, মানব আদালতে বিচার শেষ হলেও শেষ বিচারের জবাবদিহিতা আল্লাহর কাছে হবে—এ বিশ্বাস তিনি প্রকাশ করেন।তার মতে, সত্য বিচার একদিন আল্লাহর আদালতে প্রতিষ্ঠিত হবেই।

ন্যায়বিচারের আহ্বান

তিনি বিচারকদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন—

ব্যক্তিগত অনুভূতি বা রাজনৈতিক চাপ ছাড়াই সিদ্ধান্ত দিতে

প্রমাণ ও সাক্ষ্যের অসঙ্গতিগুলো বিবেচনা করতে

শুধু আল্লাহকে ভয় করে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে

তার বক্তব্যে দোয়া ও সতর্কতার বার্তা

বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, যারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বা ষড়যন্ত্র করেছেন—তাদের জন্য তিনি ‘হেদায়াতের’ প্রার্থনা করেন।তবে যদি সত্য প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে তাদের জন্য আল্লাহর বিচারের কথাও উল্লেখ করেন।

সংবাদধর্মী সারাংশ

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০১৩ সালে ট্রাইব্যুনালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন—তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, উপস্থাপিত সাক্ষ্য বা তথ্যের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।তার পুরো বক্তব্য ছিল ধর্মীয় শপথ, নির্দোষতার দাবি এবং সত্য বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বানে পরিপূর্ণ।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত