টাইগারদের সুবিধার জন্য বানানো হয়েছে এই নতুন ট্রাউজার
করোনার প্রকোপের পরেই আলোচনায় এসেছিল বলে লালা বা থুথু ব্যবহার নিয়ে। আলোচনা থেকে সিদ্ধান্তে চলে যায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বোলারদের জন্য বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই অনেক বোলার বিরোধিতা করেছিলেন। টেস্টের বর্তমান সেরা বোলার প্যাট কামিন্স তো বলেছিলেন এরকম করলে পেসারদের খেলাই ছেড়ে দেওয়া উচিত!
সেসব পার করে গত প্রায় ৮ মাস ধরে এভাবেই চলে আসছে ক্রিকেট। বিভিন্ন দলই বল উজ্জ্বল করার জন্য ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। বাংলাদেশের এই বিশেষ ট্রাউজার ব্যবহারের প্রস্তাব আগেও দেওয়া হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুশীলনের সময় টাইগারদের এটা দেওয়া হয়েছিল। তবে সে সময়ের ট্রাউজার বানানোটা টাইগার ক্রিকেটারদের কাছে যুতসই মনে হয়েছিল না তাই তারা সেটা ব্যবহার করেছিলেন না। এবার আবার সামান্য কিছু পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে এবং ক্রিকেটাররা সেটা পছন্দ করেছেন।
বিশেষ ফেব্রিক্সের এই ট্রাউজার দেখতেই বেশ উজ্জ্বল। ফেব্রিক্স আনা হয়েছে থাইল্যান্ড থেকে। বিভিন্ন নামকরা ব্রান্ড, যেমন অ্যাডিডাস, নাইকির মতো প্রতিষ্ঠানও এখন ট্রাউজার তৈরিতে এই ফেব্রিক্স ব্যবহার করছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই প্রথমবারের মতো এই বিশেষ ট্রাউজার পরে খেলবে বাংলাদেশ দল। এই ট্রাউজার ব্যবহার করে বলও রাখা যাবে উজ্জ্বল। প্রস্তুতকারকরা শতভাগ আশা করছেন ক্রিকেটাররা উপকৃত হবেন এবং পছন্দ করবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা থেকে ক্রাইস্টচার্চের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলাদেশ। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে সেখানে পৌঁছিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ক্রাইস্টচার্চে ৭ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে তাদের। নিজের সব কাজই একা হাতে করতে হবে তামিম-মুশফিকদের। চলবে একাধিকবার করোনা পরীক্ষাও। তারপরে সুস্থ থাকলেই ৭ দিন পরে মিলবে কুইন্সল্যান্ডে অনুশীলনের সুযোগ।