তিনি বাইশগজের মহাপরাক্রমশালী মহারাজা। যে রাজার প্রভাব-প্রতিপত্তি গোটা বিশ্বজুড়ে। এমন একজন রাজার তরে মাথা নত কুর্ণিশ জানাতে কি আর বলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে? যতদিন ব্যাটটা তার খাপখোলা ছিলো, ততদিন তিনি ক্রিকেটের বাইশ গজের রাজ্যটাকে শাসন করেছেন নিজের মত করে। অভিজ্ঞ শিল্পীর ন্যায় ওই সবুজ ক্যানভাসে একেঁছেন ব্যাটের আল্পনায় কত না মুগ্ধতা ছড়ানো সুন্দর সব চিত্র।

বাইশ গজে হাজারও স্মৃতি, গল্প, বা উপন্যাসের রচিয়তা তিনি। তিনি কীর্তিগাঁথার পাহাড়ের অধিপতি। হয়তো পূর্বের কীর্তিতে নতুনত্ব এনেছেন, নয়তো নিজেই নতুন কীর্তির সূচনা গড়েছেন। তবে তার হাজারো কীর্তির ভিড়ে একটা কীর্তি সদা সময়ে আলাদা হয়ে থাকবে, যে কীর্তি শত তারার মাঝে আলো ছড়ায় ধ্রুব তারার মতো করে।গোয়ালিয়রে সেদিন ছিল ইতিহাসের ২৯৬২ তম ওয়ানডে ম্যাচ।

এর আগের ২৯৬১ টি এক দিবসী ম্যাচে যা দেখেনি কভুও বিশ্ব, সেদিন গোয়ালিয়রের দর্শকেরা তারই সাক্ষী হয়েছিলেন, সচক্ষে দেখেছিলেন ইতিহাস নির্মিত হতে। সেই দিনে প্রাপ্তির রাজমুকুটে আরো একটি স্বর্ণ খচিত পালক যোগ করেছিলেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর। ২০১০ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারির সেইদিনে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইতিহাসের প্রথম নাম হিসেবে হাঁকিয়েছিলেন দ্বি-শতক।

গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রুপ সিং স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই অনন্য কীর্তি স্থাপন করেন ভারতীয় এই ক্রিকেট ইশ্বর। ইতিহাস যে সেদিন নির্মিত হয়েই যাচ্ছে, ৪৫ তম ওভার শেষেই তার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। ইনিংসের তখনো বাকি আরও ৫ ওভার, ২০০ পূর্ণ করতে শচীনের দরকার মাত্র ৯ রান। কাঙ্ক্ষিত সেই ৯ রান তিনি পেলেন বটে, তবে সেটা একেবারে ইনিংসের শেষ ওভারে!

চার্ল ল্যাঙ্গারভেল্টের বলটা পয়েন্ট অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে ইতিহাস গড়ার সেই মুহুর্তে রুপ সিং স্টেডিয়াম গ্যালারির সেই দৃশ্যটা যদি আজও দেখেন নিঃসন্দেহে শরীরে শিহরণ খেয়ে যাবে। অবশ্য তিনিই সেটার প্রকৃত দাবিদার। সেক্ষণে পুরো স্টেডিয়াম দাড়িয়ে তার মহারাজাকে সাদর সম্ভাষন জানায় মাথানত করে কুর্ণিশ দিয়ে। শুরুতেই বলেছিলাম ভারতীয় ক্রিকেট ইশ্বরের এই কীর্তিটা আলাদা হয়ে থাকবে।

তা যে সত্যিই আলাদা হয়ে ছিলো তার সাক্ষী স্বয়ং শচীনই। নিজের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ তে লিটল মাস্টার লিখেছেন সেই রাতের কথা, ’হোটেলে ফেরার পর আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, উত্তেজনার কারণে ঘুমাতে পারছিলাম না।বিছানায় একা শুয়ে ছিলাম।

মোবাইল ফোনে অগণিত শুভেচ্ছা বার্তা এসেছিল, দুই ঘন্টা সময় লেগেছিল সবার অভিনন্দনের সাড়া দিতে এবং এই কাজটা পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আমার আরও দুই দিন সময় লেগেছিল’। যাহোক, আজকের তারিখটা যেনো কতো?

গোয়ালিয়রে শচীন ঝড়ের ১১ বছর২০১০ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি প্রাপ্তির রাজমুকুটে আরো একটি পালক যোগ করেছিলেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত শচিন রমেশ টেন্ডুলকার। শচীন টেন্ডুলকার নামটা স্মরণে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় কুর্নিশ জানাতে সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার সেই বিখ্যাত গানটার এই লাইন উপেক্ষা ভালো আর কিইবা হতে পারে! তিনি তো সত্যিই মহারাজা। তিনি ক্রিকেটের মহারাজা।

তিনি বাইশগজের মহাপরাক্রমশালী মহারাজা। যে রাজার প্রভাব-প্রতিপত্তি গোটা বিশ্বজুড়ে। এমন একজন রাজার তরে মাথা নত কুর্ণিশ জানাতে কি আর বলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে? যতদিন ব্যাটটা তার খাপখোলা ছিলো, ততদিন তিনি ক্রিকেটের বাইশ গজের রাজ্যটাকে শাসন করেছেন নিজের মত করে। অভিজ্ঞ শিল্পীর ন্যায় ওই সবুজ ক্যানভাসে একেঁছেন ব্যাটের আল্পনায় কত না মুগ্ধতা ছড়ানো সুন্দর সব চিত্র।

বাইশ গজে হাজারও স্মৃতি, গল্প, বা উপন্যাসের রচিয়তা তিনি। তিনি কীর্তিগাঁথার পাহাড়ের অধিপতি। হয়তো পূর্বের কীর্তিতে নতুনত্ব এনেছেন, নয়তো নিজেই নতুন কীর্তির সূচনা গড়েছেন। তবে তার হাজারো কীর্তির ভিড়ে একটা কীর্তি সদা সময়ে আলাদা হয়ে থাকবে, যে কীর্তি শত তারার মাঝে আলো ছড়ায় ধ্রুব তারার মতো করে।গোয়ালিয়রে সেদিন ছিল ইতিহাসের ২৯৬২ তম ওয়ানডে ম্যাচ।

এর আগের ২৯৬১ টি এক দিবসী ম্যাচে যা দেখেনি কভুও বিশ্ব, সেদিন গোয়ালিয়রের দর্শকেরা তারই সাক্ষী হয়েছিলেন, সচক্ষে দেখেছিলেন ইতিহাস নির্মিত হতে। সেই দিনে প্রাপ্তির রাজমুকুটে আরো একটি স্বর্ণ খচিত পালক যোগ করেছিলেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর। ২০১০ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারির সেইদিনে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইতিহাসের প্রথম নাম হিসেবে হাঁকিয়েছিলেন দ্বি-শতক।

গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রুপ সিং স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই অনন্য কীর্তি স্থাপন করেন ভারতীয় এই ক্রিকেট ইশ্বর। ইতিহাস যে সেদিন নির্মিত হয়েই যাচ্ছে, ৪৫ তম ওভার শেষেই তার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। ইনিংসের তখনো বাকি আরও ৫ ওভার, ২০০ পূর্ণ করতে শচীনের দরকার মাত্র ৯ রান। কাঙ্ক্ষিত সেই ৯ রান তিনি পেলেন বটে, তবে সেটা একেবারে ইনিংসের শেষ ওভারে!

চার্ল ল্যাঙ্গারভেল্টের বলটা পয়েন্ট অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে ইতিহাস গড়ার সেই মুহুর্তে রুপ সিং স্টেডিয়াম গ্যালারির সেই দৃশ্যটা যদি আজও দেখেন নিঃসন্দেহে শরীরে শিহরণ খেয়ে যাবে। অবশ্য তিনিই সেটার প্রকৃত দাবিদার। সেক্ষণে পুরো স্টেডিয়াম দাড়িয়ে তার মহারাজাকে সাদর সম্ভাষন জানায় মাথানত করে কুর্ণিশ দিয়ে। শুরুতেই বলেছিলাম ভারতীয় ক্রিকেট ইশ্বরের এই কীর্তিটা আলাদা হয়ে থাকবে।

তা যে সত্যিই আলাদা হয়ে ছিলো তার সাক্ষী স্বয়ং শচীনই। নিজের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ তে লিটল মাস্টার লিখেছেন সেই রাতের কথা, ’হোটেলে ফেরার পর আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, উত্তেজনার কারণে ঘুমাতে পারছিলাম না।বিছানায় একা শুয়ে ছিলাম।

মোবাইল ফোনে অগণিত শুভেচ্ছা বার্তা এসেছিল, দুই ঘন্টা সময় লেগেছিল সবার অভিনন্দনের সাড়া দিতে এবং এই কাজটা পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আমার আরও দুই দিন সময় লেগেছিল’। যাহোক, আজকের তারিখটা যেনো কতো?