মৃ’ত্যুর আগে শেষবার কী বলেছিলেন ম্যারাডোনা
১১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান পূনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখান থেকে তিগ্রেতে বয় মেয়ের কাছে চলে যান ম্যারাডোনা। শেষ পর্যন্ত একই এলাকায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল রাজপূত্র। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে হঠাৎই বুকে ব্যথা শুরু হয় ম্যারাডোনার। এ সময় তীব্র যন্ত্র’নার কারণে পাশে উপস্থিত থাকা এক প্রতিবেশিকে শেষবারের মত শুধু বলতে পেরেছিলেন, ‘আমি খুব অসুস্থ অনুভব করছি।’
এটাই ছিল ম্যারাডোনার মুখ থেকে বের হয়ো জীবনের শেষ কথা। হাসাপাতালে নেয়ারও সুযোগ মিললো না এরপর। মৃ’ত্যুর কো’লে ঢলে পড়লেন এই কিংবদন্তি। মৃ’ত্যুকা’লে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ বিজয়ী এই কিংবদন্তি যাত্রা করলেন অন’ন্তকালের পথে।
বুধবার সকালের নাস্তার পর ম্যারাডোনা তার প্রতিবেশিকে বলেছিলেন, খুব ঠাণ্ডা অনুভব করছেন শরীরে। এ সময় তাকে নাকি খুব ফ্যাকশে দেখা যাচ্ছিল। এরপর নিজের বিছানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আর সেই প্রতিবেশিকে বলছিলেন, ‘মি সিয়েন্টো মাল (আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে)।’
বিকেলের একটু আগেই একজন পরিচারিকা দেখেন ম্যারাডোনা বিছানায় নির্জিব হয়ে পড়ে আছেন। তিনি খুব দ্রুত ফোন করেন হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তাররা ম্যারাডোনার বাসায় পৌঁছার আগেই পরাপারে পাড়ি জমালেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।