আইপিএলে নতুন ইতিহাস গড়লেন ডি ভিলিয়ার্স
এই টুইট তারা কেন করেছিল সেটাই টার্গেট মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রমাণ করেছে এই ২ জন। বিশেষ করে বললে বলা লাগবে ডি ভিলিয়ার্সের অবিশ্বাস্য ইনিংসের কথা। ডি ভিলিয়ার্সের ২২ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করেই তো ব্যাঙ্গালোর তাদের ৬ষ্ঠ জয় তুলে নিয়েছে এই মৌসুমে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। শুরু থেকেই ওপেনিং জুটিতে সমস্যা ছিল তাদের। আজকে প্রথমে নামে উথাপ্পা আর বেন স্টোকস। প্রিয় জায়গায় নামতে পেরে নিজের জাত চেনান উথাপ্পা। প্রতি ম্যাচে রান পেতে কষ্ট হলেও আজকে চাহালের বলে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৪১ রান করে তিনি।
ম্যাচে প্রথম উইকেট নিয়ে ব্যাঙ্গালোর কে ব্রেক থ্রু এনে দেন ক্রিস মরিস। ১৯ বলে ১৫ রান করেন তিনি। ম্যাচে প্রথমে চালকের আসনে ছিল রাজস্থান। চাহালের এক ওভারে উথাপ্পা ও স্যামসন আউট হয়ে গেলে ম্যাচ ফিরে আসে ব্যাঙ্গালোর। এরপর স্মিথ আর বাটলার একটা পার্টনারশিপ করলেও সেটা কার্যকর ছিল না। কারন বাটলার ২৪ রান করতে ২৫ বল খেলে ফেলেন, যা বিপদে ফেলে রাজস্থান কে।অফ ফর্মে থাকা ক্যাপ্টেন স্মিথ আজকে ৩৬ বলে ৫৭ রান করে যার উপর ২০ ওভার শেষে ১৭৭ রান তোলে রাজস্থান। ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেয় ক্রিস মরিস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় রয়েল চ্যালেঞ্জারস ব্যাঙ্গালোর। ৭ উইকেটের জয় শুনতে সহজ শুনালেও ম্যাচ টা অনেক কঠিন ছিল তাদের জন্য। অফ ফর্মে থাকা ফিঞ্চ আজকেও মাত্র ১১ বলে ১৪ করে ফিরে গেছেন। এরপর কোহলি আর পাডিক্কাল একটা বড় পার্টনারশিপ করলেও সেটা দলের জন্য বিপদই এনে দিচ্ছিলো।
৩৭ বলে ৩৫ রান করে পাডিক্কাল আউট হয় তেওয়াতিয়ার বলে। ঠিক পরের ওভারে ত্যাগির বলে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে কোহলিকে ফিরিয়ে দেয় তেওয়াতিয়া। ১০২ রানে কোহলি আউট হলে তাদের দরকার হয় ৪১ বলে ৭৬ রানের।
গুরকিরাত মান সিং এর ধীর ইনিংস দলের উপর চাপই বাড়াচ্ছিল যেটা এক সময় ১২ বলে ৩৫ রানে নিয়ে আসে। উনাদকাটের এক ওভারে ৩ ছয় ও বাউন্ডারি থেকে শেষ ওভারে দরকার হয় ১০ রান।ম্যাচের ৪র্থ বলে ৬ মেরে দলের জয় এবং নিজের ৫০ তুলে নেয় ডি ভিলিয়ার্স।
তার ৫৫ রানের ইনিংস ছিল ২২ বলে।এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে ৩ নাম্বারে থাকলেও শীর্ষে থাকা মুম্বাইয়ের সমান ১২ পয়েন্ট ব্যাঙ্গালোরের।