ক্রিকেট নিয়ে পাওয়া গেলো সবচেয়ে বাজে তথ্য
২০০০ সালে ভারত সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ পাতান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে। সেই সূত্রে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। সম্প্রতি তার কাছ থেকে গোপন জবানবন্দি নিয়েছে তারা।
তাদের দেয়া বিবৃতিতে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটান সঞ্জীব। মুহুর্মুহু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ ভারতীয় বুকি বলেন, বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন প্রভাবশালী এক মাফিয়া গোষ্ঠী। তাদের টার্গেট এ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালানো অপরাধ শাখার কর্মকর্তা জি রামগোপাল নাইক। তার জীবননাশের শংকা রয়েছে।
দিল্লিতে বিশাল ব্যবসা ছিল সঞ্জীবের। এখানকার সব তল্পিতল্পা গুছিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
পুলিশের জেরার মুখে এ ফিক্সার বলেন, এর বেশি কিছু বলতে পারব না আমি। কারণ ‘ক্রিকেটের আন্ডারওয়ার্ল্ড চক্র’ খুবই ভয়ংকর। এ নিয়ে কোনো বিষয়ে মুখ খুললে আমাকে খুন করতে পারে তারা।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি (ক্রাইম) প্রবীর রঞ্জন বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে তথ্য শেয়ার করতে পারব না আমরা।
অতিরিক্ত চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জীব এ তদন্তে সাহায্য করছেন না। এ থেকে পরিষ্কার উনি এ গড়াপেটায় জড়িত। তার ট্রায়াল কোর্টের জামিনের অর্ডারে স্থগিতাদেশ জারি করেননি হাইকোর্ট। ফলে চলতি মাসেই তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন এ ফিক্সিং হোতা।
এর পরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছে দিল্লি পুলিশ। আগামী মাসেই এর শুনানি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে সঞ্জীবের অন্য সহযোগীদের সম্পর্কে জানা গেছে। তারা হলেন কৃষাণ কুমার, রাজেশ কালরা ও সুনীল দারা।
২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরে কীভাবে গড়াপেটা করা হয়, এর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি ক্রোনিয়ের সঙ্গে সঞ্জীবের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিংও রয়েছে পুলিশের কাছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে ভারত ছেড়ে আমি পাকাপাকিভাবে লন্ডনে ঘাঁটি গাড়ি। অক্সফোর্ড স্ট্রিটে আমার দোকান রয়েছে। কৃষাণ, রাজেশ, সুনীল আমার পুরনো বন্ধু। তারা বেটিং কাণ্ডে যুক্ত।
দীর্ঘদিন ব্রিটেনে থাকায় দেশটিতে নাগরিকত্ব পান সঞ্জীব। ২০০০ সালের শুরুর দিকে এ সিটিজেনশিপ লাভ করেন তিনি। তবে ম্যাচ পাতানো কেলেংকারিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালায় ভারত। দীর্ঘ প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়া চালানোর পর চলতি বছরের গোড়ার দিকে ওকে ফিরিয়ে আনে তারা।