নকলের প্রশ্নবানে জর্জরিত শাকিব-বুবলীর ‘অহংকার
এবার নকলের প্রশ্নবানে জর্জরিত শাকিব-বুবলীর ‘অহংকার’! ঈদে (২ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। আর চতুর্থদিন না পেরুতেই ছবিটির বিরুদ্ধে কাহিনি, সংলাপ এমনকি ফ্রেমেও হুবহু মিল পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দৃশ্যধারণও করা হয়েছে নাকি কন্নড় প্রদেশের সিনেমা-অটো সংকর সিনেমার আদলে! আর সে তথ্যই উঠে এসেছে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে।
ভারতের কন্নড় প্রদেশের ‘অটো সংকর’ চলচ্চিত্রটি নকল করেই নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের ‘অহংকার’! সবচেয়ে গুরুতর বিষয়টি হলো, ছবিটি কোনো কপিরাইট নিয়ে নির্মিত হয়নি! কিন্তু অন্যদিকে চলচ্চিত্রটি আপাদমস্তকই নকল বলে অভিযোগ! ২০০৫ সালে ভারতের কন্নড় প্রদেশে মুক্তি পায় ‘অটো সংকর’ চলচ্চিত্রটি। নির্মাণ করছেন ডি রাজেন্দ্র বাবু।এরপর চলচ্চিত্রটি তামিল ভাষায় ডাবিং করা হয়। সেই সাথে নামেরও পরিবর্তন করা হয়। নতুন করে রাখা হয় ‘আনাভাকারী’। এখানেই শেষ নয়, এরপর হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রটির ডাবিং করা হয়। সেখানেও নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম রাখা হয় ‘শিল্পা দ্য বিগ ডন’। একইভাবে মালায়লাম ভাষায় সিনেমাটি ডাবিং করে নাম রাখা হয় ‘শারাপ্পা সুন্দারী’। ‘অটো সংকর’ সিনেমার মতোই ‘অহংকার’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে একজন অটোচালক।
‘অহংকার’ সিনেমায় যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। আর শিল্পা শেঠির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী। ‘অটো সংকর’ চলচ্চিত্রটি ভারতের বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করলেও বাংলাদেশ পুরোপুরি নকল করল এই সিনেমার গল্প। শুধু বদলে গেছে সিনেমায় মূল দুই চরিত্র ও কলাকুশলী আর লোকেশন।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন। প্রসঙ্গটি নিয়ে নির্মাতা লিটনের কথায় ভিন্ন সুর। তিনি এসব কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি জানান, চলচ্চিত্রটির কাহিনি লিখেছেন এই সিনেমার প্রযোজক আব্দুল মাবুদ কাওসার নিজেই। তবে পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই।
লিটন বলেন, ‘এটা আমার প্রযোজকের গল্প। আমি সেভাবেই নির্মাণ করেছি। কোনো ছবির সঙ্গে মিলে গেলে সেটি আমার অগোচরেই।’ ঈদে সারাদেশের ১১৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব-বুবলি অভিনীত ‘অহংকার’ চলচ্চিত্রটি। গত পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘অহংকার’ ছবিটির। কিন্তু শুটিং সম্পন্ন না হওয়ার কারণে এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে। ‘অহংকার’ ছবির গল্প লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।