শিল্পী আব্দুল জব্বার আর নেই(ইন্না...রাজিউন)
গুণী এই শিল্পীর ছেলে বাবু জব্বার জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার দুপুরে আব্দুল জব্বারকে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশ বরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পী।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ। সবাই যদি ১টাকা করে দেয় তাহলেও ১৬ কোটি টাকা হবে। নিজের চিকিৎসার জন্য এভাবেই সাহায্য চেয়েছিলেন বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল জব্বার। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলনা তার।
বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আব্দুল জব্বার কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেছিলেন, ‘শনিবার রাত থেকেই আবদুল জব্বার সংজ্ঞাহীন হয়ে কোমায় আছেন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁর রক্তচাপ দ্রুতই নেমে যাচ্ছে। শরীরের অন্য অর্গানগুলোও কাজ করছে না। তাই অবস্থা একদমই ভালো নয়। ’
শিল্পী আবদুল জব্বার বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২০ নম্বর কক্ষে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। চলতি বছরের ৩১ মে তিনি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাঁকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আবদুল জব্বার গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে সারা কলকাতার ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সে সময়ে পাওয়া ১২ লাখ টাকা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পী ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’ এমন গানসহ অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।