শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করার জন্য যে শাস্তি পেতে হচ্ছে মৌসুমী ওমর সানীকে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শাকিব খান অভিনীত ‘‘আমি নেতা হবো’’ চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করায় মৌসুমী, ওমর সানী, ডিজে সোহেল, কমেডিয়ান ববি, অভিনেতা কমলসহ মোট ১০ জনের সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পী সমিতি। আমি ওই চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করছি।
বাকিরা শিল্পী হিসেবে কাজ করছিলেন। আজকের সভায় আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেন শাকিব খানের চলচ্চিত্রে কাজ করলাম? আমি আমার আত্মপক্ষ সমর্থন করে কমিটিকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি। আমি ছাড়া অন্য ১০ জন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। উনাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমাকে আগামী সভা পর্যন্ত সময়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
১০ জনের সদস্য পদ স্থগিত করার কারণ জানতে চাইলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘মৌসুমী, ওমর সানীসহ ১০ জনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। পুরো সিদ্ধান্ত আগামী কাল জানানো হবে।’
গত ২৩ জুন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও বরেণ্য চিত্রনায়ক ফারুককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে শাকিব খানকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
এরপর গত ১৮ জুলাই ‘চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কেউ কাজ করবে না’ সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলচ্চিত্র পরিবার। কাজ করলে শিল্পী সমিতি থেকে তাঁর সদস্যপদ বাতিলের কথাও জানানো হয়।
এ ঘোষণার পর থেকে শাকিব খানকে নিয়ে পুরোনো শুটিং শেষ না হওয়া ছবির প্রযোজকরা বিপাকে পড়েন। বাধ্য হয়ে ‘শাপলা মিডিয়া’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে চলচ্চিত্র পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করা হয়।
শাপলা মিডিয়া থেকে শাকিব খান তিনটি ছবি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ছবি তিনটি হলো ‘আমি নেতা হবো’, ‘মামলা হামলা ঝামেলা’ ও ‘কথা দিয়ে কেউ কথা রাখে না’।
তাই বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কেউ কাজ করবে না’ মর্মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম তিনটি চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
গত ২৩ জুলাই বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে শাকিব খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।