স্কুলে বাবা অপমানিত, বাসায় ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
অদিত্রি ভিকারুননিসা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা দিলীপ অধিকারী একজন কাস্টমস (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ী। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। অদিত্রি তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর শান্তিনগরে থাকত।
অদিত্রির বাবার সহকর্মী মবিনুর রহমান জানান, অদিত্রি ক্লাস পরীক্ষায় মোবাইলে উত্তরপত্র লিখে নিয়ে গিয়েছিল। ধরা পড়ায় তাকে অার পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে অাজ (সোমবার) সকালে তার বাবা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের রুমে সরি বলার জন্য গেলে প্রিন্সিপাল তাকে অনেক কিছু বলেন। অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়ের সামনে কেঁদে ফেলেন দিলীপ অধিকারী। বাবাকে অপমানের বিষয়টি হয়তো মেনে নিতে পারেনি অদিত্রি। পরে সে বাসায় ফিরে তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ফ্যানের সাথে ঝুলে অাত্মহত্যার চেষ্টা করে। অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক অদিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাবুল মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।