একসঙ্গে ‘ভাত দে’ছবির দুই জরি
১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনের সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘ভাত দে’ ছবিটি আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের পর শাবানা অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করলেও আঁখিকে আর পাওয়া যায়নি রূপালি পর্দায়। তিনি বেছে নিয়েছেন সংগীত জীবন। অন্যদিকে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা অঙ্গন থেকে একেবারেই আড়ালে চলে গেছেন শাবানা। তাই ‘ভাত দে’ ছবির দুই জরি’র দেখা-সাক্ষাৎ সে অর্থে হয় না বহু বছর।
মজার খবর হলো, ৬ জুলাই ‘ভাত দে’ ছবির সেই দুই জরি’র দেখা হলো। তারা দুজনে একসঙ্গে কাটিয়েছেন এদিন সন্ধ্যায় অনেকটা সময়। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন একই ছবির নায়ক আলমগীর এবং উপমহাদেশের অন্যতম সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাও।আঁখি জানান, এটি মূলত তার বাবা আলমগীরের আয়োজনে শাবানার জন্য একটি পারিবারিক গেটটুগেদার ছিল।
‘ভাত দে’ ছবির একটি সংলাপ উচ্চারণ করে আঁখি বলেন, ‘‘দিন থাকিতে হাইট্টা যাইও দেরি কইরো না…’। ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের দুই জরি অনেক বছর পরে একসাথে হলাম। এই সন্ধ্যাটি সত্যিই অন্যরকম ছিল আমাদের কাছে। আমার জীবনের স্মরণীয় সন্ধ্যাও বলতে পারি এটিকে।’’
প্রসঙ্গত, ‘ভাত দে’ ছবিটি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পরিচালক আমজাদ হোসেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতার পুরস্কারসহ মোট ৯টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। এরমধ্যে শাবানা শ্রেষ্ঠ অীভনেত্রী এবং আঁখি শ্রেষ্ঠ শিশুমিল্পীর পুরস্কার পান।
এই ছবিতে জরি একজন গরিব বাউল শিল্পীর মেয়ে (আঁখি)। যে কিনা ছোটবেলায় অভাবের কারণে মাকে হারায়, অন্ধ বাউল বাবাকে নিয়ে ছোটবেলা থেকেই যার সংগ্রামী ও অতি অভাব অনটনের সংসার। জরি যখন বড় হয় (শাবানা) একদিন তার বাবাও দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে গিয়ে মারা যান। এরপর থেকে সহায় সম্বলহীন এক অসহায় দরিদ্র জরি’র অতি করুণ কাহিনির একটি সফল চিত্ররুপ ‘ভাত দে’ ছবিটি।