সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফেসবুকের প্রায় ৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় বেশ বেকায়দায় রয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, ৫ কোটি গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়েছে। খবর এপি ও ইউএনবির।

এর প্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাকারবার্গ বলেন, ‘কিছু লোক সার্চ অপশনের অপব্যবহার করছে। তাই আপাতত এ ফিচারটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমার চিন্তা আগে সীমাবদ্ধ ছিল। আমি এখন বুঝতে পারছি ফেসবুককে আরো দায়িত্ব নিতে হবে।’

ফেসবুকের এই কর্ণধার আরও জানান, তিনি আগে ভাবতেন ফেসবুক মানুষকে বিভিন্ন টুলস দিয়েছে। সেটি কে, কিভাবে ব্যবহার করবে সেই দায় ব্যবহারকারীর ওপরই বর্তায়। তবে তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তার ধারণা বদলে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, লন্ডনভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মাধ্যমে এসব তথ্য তথ্য ফাঁস হয়। তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে একটি সিস্টেম দাঁড় করায়। আর ওই সিস্টেম দিয়ে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারনা চালানো হয়।

ওই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলি গত মাসে ওই ঘটনা ফাঁস করে দিলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক। তবে ফেসবুক থেকে অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহারের সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা।