মাত্র ৫৩ সেকেন্ডের জাদু, দুর্দান্ত মেসি সুয়ারেজ
অথচ ঘরের মাঠে ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল সেভিয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হলো না। মাত্র ৫৩ সেকেন্ডের জাদুতে কি দারুণভাবেই না ফিরে এলো বার্সেলোনা!
লুইস সুয়ারেজ ও মেসির গোলে নাটকীয় ম্যাচ থেকে ২-২ ব্যবধানের ড্র নিয়ে ঘরে ফিরল কাতালান ক্লাবটি। দারুণ এই ড্রয়ে লিগে টানা ৩৭ ম্যাচ অজেয় থাকার গৌরবটা ধরে রাখল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
তবে বার্সেলোনার শুরুর একাদশে ছিলেন না মেসি। ওসমান ডেম্বেলের পরিবর্তিত হিসেবে ৬০ মিনিটের সময় মাঠে নামেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। মাঠে ফিরেই লা লিগায় ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ সেভিয়ার বিপক্ষে ২৪তম গোলটি করলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। লিগে বেঞ্চ থেকে উঠে আসা ১৩ ম্যাচের মধ্যে এটা মেসির নবম গোল।
অবশ্য প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে বার্সা ড্র নিয়ে ফিরলেও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকই প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়েছে। লাস পালমাসকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে জিনেদিন জিদানের দল।
অবশ্য রিয়ালের তিন গোলের দুটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে, তাও আবার ৫১ মিনিটের মধ্যে। জোড়া গোল করেছেন গ্যারেথ বেল। কিন্তু এক গোল করেই লাইম লাইটে থাকলেন ফর্মহীনতায় ধুঁকতে থাকা করিম বেনজেমা। এদিন যে রিয়ালের জার্সিতে ৪০০তম ম্যাচটি খেলতে নেমেছেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার!
দুদিন বাদেই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ। জুভেন্টাস ম্যাচকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে এদিন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, টনি ক্রুস ও মার্সেলোকে একাদশে রাখেননি রিয়াল কোচ জিদান। এই ত্রয়ীর অনুপস্থিতির পরও রিয়ালকে কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি লাস পালমাস।
দারুণ এই জয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে জিদানের দল। ৩০ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট রিয়ালের। তাদের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে যথারীতি শিরোপার সুবাস পাচ্ছে বার্সেলোনা। দুই দলের মাঝে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৪। তারা অবশ্য একটি কম খেলেছে রিয়াল-বার্সার চেয়ে।