ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শেখ হাসিনার রায়: যা বললেন শেখ হাসিনার আইনজীবী

২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১২:২৫:০২

শেখ হাসিনার রায়: যা বললেন শেখ হাসিনার আইনজীবী

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সোমবার (১৭ নভেম্বর) বলেন, “আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। যদি শেখ হাসিনা খালাস পান, আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি আমার মক্কেলের খালাস চাই। এটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগের প্রচেষ্টা হয়নি। উনিও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সবসময় আশা করি আমার মক্কেল খালাস পাবেন। এত মাস ধরে মামলা লড়ার পর খালাস পেলে যে আনন্দ হবে, তা আমার চাইতে বেশি কেউ অনুভব করতে পারবে না।”

রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, “উনি আমার মক্কেল না, তাই উনির সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারি না। আমার বক্তব্য শুধু আমার আসামির পক্ষে।”

ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী দায়িত্বে নিয়োজিত। দোয়েল চত্ত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়েছে। প্রসিকিউশন এবং স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক ৯ কার্যদিন ধরে চলেছে। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের যুক্তিখণ্ডনের পর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে। তবে রাজসাক্ষী আল-মামুনের খালাস ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, হত্যাকাণ্ড ও লাশ পোড়ানো। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র, জব্দতালিকা, দালিলিক প্রমাণাদি এবং শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত