ঢাকা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পুরো এলাকা, আহত অর্ধশতাধিক

২০২৫ নভেম্বর ০৮ ০৭:৩০:১০

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পুরো এলাকা, আহত অর্ধশতাধিক

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি পালনের সময় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পৌর বাজারের ওয়াপদা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ৪০ থেকে ৫০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুন দেওয়া হয় ১২টি মোটরসাইকেলে। আশপাশের দোকানও ভাঙচুর করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়ার (ভিপি ঝুনু) নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি দুটি ভাগে বিভক্ত। দুজনই ফরিদপুর-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

বিকেলে উভয় পক্ষের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে ওয়াপদা মোড়ে মুখোমুখি হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। পরে বিক্ষুব্ধরা মোটরসাইকেল ও দোকানে আগুন দেয়। সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভিপি ঝুনু অভিযোগ করেন, “নাসিরুলের লোকজন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”অন্যদিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের লোকজনের ওপরও হামলা করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ জনতা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়।”

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

গলাচিপায় বিএনপি-গণঅধিকার কর্মীদের সংঘর্ষএদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের কপালবেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ১৬ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাঁদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কপালবেড়া গ্রামের রাঢ়ি পরিবারের সঙ্গে খলিফা পরিবারের লোকজনের বিরোধ ছিল। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান শাহীন খন্দকার দাবি করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির লোকজন কপালবেড়া বাজারে মিছিল শেষে ফিরছিল। পথে গণঅধিকার পরিষদের লোকজন তাদের ওপর হামলে পড়ে।

এতে বিএনপিকর্মী ইলিয়াস রাঢ়ি, সবুজ রাঢ়ি, নূরনবী রাঢ়ি, হাসান রাঢ়ি, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব রাঢ়ি, ওমর রাঢ়ি, রাহান রাঢ়ি ও সলেমান রাঢ়ি আহত হন।অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে আহত হন আজমির খলিফা, মো. সোহেল খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগম, নাঈম খলিফা ও নবীন খলিফা।

গলাচিপা থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “কপালবেড়া বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।”

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত