ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দারুন সুখবর : সরকারের সিদ্ধান্তে এক লাখের নিচে নামতে পারে স্বর্ণের দাম

২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১১:৩০:১৩

দারুন সুখবর : সরকারের সিদ্ধান্তে এক লাখের নিচে নামতে পারে স্বর্ণের দাম

সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটতে পারে স্বর্ণবাজারে। দীর্ঘদিনের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পতন আসতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম এক লক্ষ টাকার নিচে নামতে পারে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

গত কয়েক বছরে সোনার লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। এক বছরের ব্যবধানেই দাম বেড়েছে প্রায় অর্ধশতাংশ। যদিও সাম্প্রতিক ধনতেরাসের পর সামান্য পতন দেখা গিয়েছিল, তবু বড় ধরনের দাম কমার প্রত্যাশায় ছিলেন ক্রেতারা।

এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার বাজারে স্থিতি ফেরাতে এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে গতি আনতে সোনা ও রুপোর ভিত্তি আমদানি মূল্য (Base Import Price) হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই নতুন নীতির ফলে আমদানি শুল্কের চাপ কমবে, যা সরাসরি খুচরা বাজারে সোনার দাম কমানোর দিকে প্রভাব ফেলবে।

সোনা–রুপোর নতুন ভিত্তি আমদানি মূল্য:

সোনা: প্রতি ১০ গ্রামে নতুন ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ ডলার

রুপো: প্রতি কেজিতে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৭ ডলার

ভিত্তি আমদানি মূল্য হলো কোনো পণ্যের আমদানি শুল্ক নির্ধারণের জন্য সরকার কর্তৃক ধার্য করা ন্যূনতম মূল্য। এই মূল্য সাধারণত প্রতি ১৫ দিন অন্তর পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হয়। মূল্য কমানো মানে আমদানিকারকদের করের বোঝা হ্রাস, যা পরোক্ষভাবে খুচরা বাজারে দামের পতন ঘটায়।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট:

বিশ্বে স্বর্ণ আমদানির দিক থেকে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ, চীনের পর। রুপো আমদানিতে ভারত শীর্ষে অবস্থান করছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী:

ভারতের মোট স্বর্ণ আমদানির প্রায় ৪০% আসে সুইজারল্যান্ড থেকে

১৬% আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে

১০% আসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ৪৮টি দেশ থেকে সোনা আমদানি করেছিল, আর পরবর্তী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেই আমদানি বেড়েছে ২৭.৩ শতাংশ।

সম্ভাব্য প্রভাব:

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপে স্বর্ণের খুচরা মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাই উপকৃত হবেন না, দেশের গয়না শিল্পও লাভবান হবে। দাম কমলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত