আত্মহত্যা করাই রাজশাহীর এই পরিবারটির নেশা
রোববার শ্বশুর আজগর আলীর ওপরে রাগ করে বিষপান করেন নিহারী বেগম। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহারী বেগম মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে ওই পরিবারে তিনজন আত্মহত্যা করেছে। নিহারী বেগমের স্বামী মহিদুল ইসলামও ৬ মাস আগে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সে যাত্রায় মহিদুল ইসলাম মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়। তা না হলে এ সংখ্যা আরও বাড়ত।
এলাকাবাসী জানায়, আজগর আলীর পরিবারে সব সময় অভাব অনটন লেগেই থাকে। তারা খুবই দরিদ্র। এছাড়া ছেলেরা ঠিক মতো কাজ করে না। বাবা হিসেবে একটু বকাঝকা করলেই বিষ পান করে।
বাবা আজগর আলী ও মা ভানু বেগম বলেন, ‘আমরা দরিদ্র। আমাদের কোনো শত্রু নেই। ছেলেরা কাজ করে না। আমরা যা আয় করি তাই। ছেলেরা বড় হয়েছে। তবু কোনো কাজ করে করে না। শুধু খরচ চায়। খরচ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই অভিমান করে। অভাবের কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে।’
আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক রাজ বলেন, ‘বিষয়টি বেদনাদায়ক। তবে, ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তারা কোনো পরিশ্রম করে না। ওই পরিবারের অনেকেই বিষন্নতায় ভোগে। আমার ধারণা সেসব থেকে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটছে। ’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা জানান, আজগর আলীর পরিবারে তিনজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন বিষয় তার জানা নেই।