ওজন বাড়াতে চাইলে
ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ওজন কম থাকার জন্য কয়েকটি কারণ থাকে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা (হরমোনাল ইমব্যালান্স) এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া দেখা যায়, অনেকে খাবারের ব্যাপারে একটু খুঁতখুঁতে। দেখা যায় সকালে হয়তো না খেয়ে বের হলেন, এরপর বিকেল চারটায় একবার খেলেন। তখন কিন্তু অ্যাসিডিটির কারণেও খেলে অস্বস্তি হয়। তাই যদি কোনো ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে সেটার কিন্তু চিকিৎসা করানো জরুরি।
সে তো গেল যাঁদের অসুখ আছে তাঁদের কথা। যাঁদের নেই তাঁরা কী করবেন? শামসুন্নাহার নাহিদ জানালেন সে উপায়ও। বললেন, ওজন বাড়ানো বা কমানোর জন্য সবার আগে বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি ‘জাংক ফুড’ খেতে পছন্দ করেন, তাহলে তিনি বাড়িতে বানিয়ে খাবেন। এ ছাড়া ওজন বাড়াতে কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। বাড়িতে রান্না করা পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, তেহারি খেতে পারেন। কিন্তু কারও যদি ভাতজাতীয় খাবার খেতে ভালো না লাগে, তাহলে তিনি মাল্টি গ্রেইন্ড আটা দিয়ে বানানো লুচি বা পরোটা খেতে পারেন। ওজন বাড়াতে হলে শর্করা, আমিষ আর চর্বি আছে এমন খাবার খেতে হবে। জানতে হবে শারীরিক গঠন অনুযায়ী কত ক্যালরি নেওয়া যেতে পারে। তাঁকে এর থেকে বেশি ক্যালরি নিতে হবে। মানে, কারও যদি পুষ্টি কম থাকে, তাহলে সে অনুসারে খাবার খেতে হবে।
সবজি রান্না করে না খেয়ে ভাজি করে খেলে, ডিম সেদ্ধ না করে পোচ খেলে ওজন বাড়বে। হালিম, পুডিং, কেক—এসব খেলেও ওজন বাড়বে। মনে রাখতে হবে, ওজন বাড়াতে হলে সময়মতো খেতে হবে। পরিমাণমতো খেতে হবে। একবারে অনেকটা না খেয়ে বারবার খেতে হবে। কোনো খাবারে অরুচি থাকলে বা অ্যাসিডিটি হলে সেটা বাদ দিয়ে খেতে হবে। মিষ্টিজাতীয় খাবার আর তেল দিয়ে রান্না করা খাবার ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। আর মনে রাখতে হবে, কখনোই তিন ঘণ্টার বেশি না খেয়ে থাকা যাবে না।
প্রচুর পানি পান করাও জরুরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, খুব বেশি যেন বেড়ে না যায়। সে ক্ষেত্রে একজন ভালো পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি।