আজ পবিত্র আশুরা; রাসূল (সা.) যেভাবে উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন
পবিত্র আশুরায় আমাদের করণীয়ঃ মানব ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকেই আশুরাতে সংঘটিত ঘটনাবলি মানবজাতির জন্য দিকনির্দেশনা হয়ে রয়েছে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের ক্রান্তিকালে করণীয় ও বর্জনীয় অসংখ্য নির্দেশনা এ আশুরার ঘটনাবলিতে বিদ্যমান। প্রতি বছর এ দিনটি যখনই মানুষের কাছে ধরা দেয়, তখনই মনে হয় যেন আশুরা তার শিক্ষার ভাণ্ডার নিয়ে আমাদের নতুনভাবে ডাকছে।
এ দিনের আবেদন ফুরানোর নয়। আর তাই আশুরাকে আমাদের সুন্দরভাবে উদযাপন করতে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ দিনকে যেভাবে উদযাপন করেছেন এবং উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদেরও ঠিক সেভাবেই উদযাপন করতে হবে।
এদিকে আশুরার দিন রোজা রাখা খুবই ফজিলতের। তবে তার আগে অথবা পরে আরেকটি রোজা সংযোগ করতে হবে। যাতে ইহুদিদের রোজা প্রথা থেকে মুসলমানদের আশুরা পালন ভিন্ন হয়। আল্লাহর রাসূল (সা) সবসময় বিধর্মীদের অনুকরণ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
আশুরার রোজা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল কিছু ইহুদিকে দেখলেন আশুরা দিবসে তারা রোজা পালন করছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কিসের রোজা? তারা বলল, এদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইল সম্প্রদায়কে সমুদ্রে ডুবে মরার হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। ফেরাউনকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাই মুসা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এদিন রোজা পালন করেছিলেন।
মহানবী (সা.) বললেন, ‘আমি মুসার অনুসরণের বেশি উপযুক্ত এবং এ দিবসের রোজার বেশি হকদার। তিনি তার সাহাবাদের রোজা পালনের নির্দেশ দান করেন।’ -মুসনাদে আহমদ
তবে তিনি আশুরার রোজাকে ইহুদিদের রোজা থেকে পৃথক করার জন্য বলেছেন- ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং ইহুদিদের থেকে ব্যতিক্রম কর। আশুরার একদিন আগে বা একদিন পরেও রোজা রাখ।’
আশুরার দিন রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন- ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তিনি এক বছর আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ -মুসনাদে আহমদ