এবারই প্রথম এমন ঘটনার জন্ম দিল ভারত
এ পেসারের সুইং সামলাতে না পেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লোকেশ রাহুল। তিনিও আউট হন মাত্র ১ রানে। অর্থাৎ ভারতীয় টপ অর্ডারের এ তিন ব্যাটসম্যানেরই স্কোর—১, ১ ও ১। ওয়ানডে ইতিহাসে এর আগে কোনো ম্যাচেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ১ রান করে আউট হননি। ৪৮ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম।
রোহিত ও লোকেশ না হয় সুইং সামলাতে না পারার খেসারত দিয়েছেন। আর স্টাম্পের বল আড়াআড়ি খেলার মাশুল গুনেছেন কোহলি। ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, সোজা ব্যাটে বলটা খেললে সম্ভবত ফাঁদে পড়তেন না ভারতীয় অধিনায়ক। আসলে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল এলেই কোহলির কী যেন হয়! এ নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলছেন কোহলি।
এর মধ্যে কোনো ম্যাচেই ২১ বল খেলার বেশি উইকেটে থাকতে পারেননি। তিনটি সেমিতেই বাঁ হাতি পেসারের হাতে আউট হয়েছেন ভারত অধিনায়ক। ২০১১ বিশ্বকাপে মোহালির সেমিতে ফিরেছিলেন ওয়াহাব রিয়াজের বলে, ২০১৫ সালে সিডনিতে মিচেল জনসন। এবার তাকে ফেরালেন ট্রেন্ট বোল্ট। আরেকটি ব্যাপার, ক্রম ধরলে বিশ্বকাপ সেমিতে কোহলির বল খেলার সংখ্যা কমছে!
২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ বলে ৯ রান করে আউট হয়েছিলেন কোহলি। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এটাই তার সর্বোচ্চ খেলা বলসংখ্যা। পরের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল থেকে ১ রানে আউট হওয়ার পথে রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। চার বছর আগে সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলি আউট হয়েছিলেন ‘আনলাকি থার্টিন’—১৩ বলে ১ রান করে। আর আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টিকেছেন মাত্র ৬ বল। সব মিলিয়ে এ তিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কোহলির মোট সংগ্রহ ১১। আর ব্যাটিং গড় ৩.৬৭!