শুধু অনুশীলন করলেই হবে না
আরও একটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের সামনে। মিশন শিরোপা ধরে রাখা। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ নাভিদ নেওয়াজ এবং ট্রেইনার রিচার্ড স্টোনিয়ার মনে করেন, শুধু অনুশীলন না।
পাশাপাশি হতে হবে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিটনেস ট্রেইনার রিচার্ড মনে করেন অনুশীলনের পাশাপাশি প্রয়োজন ‘লাইফ স্টাইল’র পরিবর্তন। হেড কোচ অবশ্য এখনই নতুন এই ব্যাচের উপর প্রত্যাশার চাপ চপিয়ে দিতে নারাজ। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে যুবাদের নিয়ে যে পরিকল্পনা সাজিয়েছিল বাংলাদেশ তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। করোনা মহামারি কেড়ে নিয়েছে পুরো এক বছর।
২০২২ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেই লক্ষ্যে নিজেদের মানিয়ে নিতে নতুন করে সসবকিছু শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিশন শুরুর আগে শারীরিক প্রস্তুতির আগে দরকার মানষিক প্রস্তুতি। সেটিই মনে করেন ফিটনেস ট্রেইনার স্টোনিয়ার। সময় নিউজকে তিনি বলেন, “অনূর্ধ্ব-১৯ দল শুধু অনুশীলন করলেই হবে না। ফিটনেস লাইফস্টাইলের একটা অংশ।
৭০ ভাগ মানসিক এবং ৩০ ভাগ শারীরিক। মন সায় না দিলে, আপনি কিছু করতে পারবেন না। শর্টকাটে কিছু পাবেন না, এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে। এ ব্যাচটা নতুন, অনেক সময় চলে গেছে কিন্তু তারা খুব দ্রুত শিখছে। প্রফেশনাল অ্যাথলিটদের মতো তারা রেসপন্স করছে। যতক্ষণ তারা এনজয় করবে, এটা আপনাকে ফল দিবে। আমি আমার কাজটা করে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো।
আশা করি, তারা হতাশ করবে না।” শিরোপা জয়ের পর সেটি ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চাপ মনে করেন হেড কোচ নাভিদ নেওয়াজ। করোনার জন্য যে এক বছর নষ্ট হয়েছে সেটি পুষিয়ে নিতে নতুন খেলোয়াড়দের আরও বেশি সময় দেয়ার পক্ষে এই কোচ। তিনি বলেন, “এ দলটা (অনুর্ধ্ব-১৯) অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ। এখানে খুব ভালো কিছু পেসার, স্পিনার, অলরাউন্ডার আছে।
এখন আমাদেরকে তাদের ভালো কিছু জায়গা দিতে হবে, যেখানে তারা পারফর্ম করতে পারবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন আলাদা হবে, সেখানকার সাথে মানিয়ে নিতে হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আমি জানি, আমাদের ওপর মানুষের অনেক প্রত্যাশা, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, এ ছেলেরা এক বছর পিছিয়ে আছে। তাই তাদেরকে নিজের খেলাটা খেলার জন্য সময় দিতে হবে।
আমাদের এবারের মিশনটা একটু আলাদা, বিশ্বকাপ ধরে রাখতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবো আমরা। চাপ আছে, তবে আমি সবাইকে সেটা উপভোগ করতে বলেছি। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে টাইগার যুবারা। ভারতে আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে শুরু হবে প্রস্তুতি। দেশের মাটিতে পাকিস্তান এবং বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ড যাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।