যে কারনে স্টোকসের স্ত্রীকে ১৪ দিনের জন্য কাছে চাইলেন স্যামুয়েলস
মার্লন স্যামুয়েলস তো সোজা স্টোকসের পরিবারকে টেনে এনে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসলেন! যে বিতর্কে পরে ঢুকে পড়লেন শেন ওয়ার্ন। এবং স্যামুয়েলসের সঙ্গে তাঁরও লেগে গেল।
পুরো ঘটনাটা কী? রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল খেলতে আরব আমিরাতে অবস্থান করছিলেন স্টোকস। যেখানে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে তাঁকে মাঠে নামতে হয়েছে।
সেই কোয়ারেন্টাইন অভিজ্ঞতা নিয়ে পডকাস্টে বলতে গিয়ে স্টোকস বলে দেন, “খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা ওভাবে বন্দি হয়ে থাকা। আমার চরম শত্রুকেও যেন কোয়ারেন্টাইনে না থাকতে হয়। আমার ভাই মেসেজ করে জানতে চেয়েছিল, আমি কি একই জিনিসটা মার্লন স্যামুয়েলসের ক্ষেত্রেও চাই না? ওকে বলি, না। একেবারেই চাই না।”
পুরোটাই ঠাট্টা করে বলা। তা সে যতই কয়েক বছর ধরে স্টোকস-স্যামুয়েলস সম্পর্ক খারাপ থাক। কিন্তু এ হেন ঠাট্টার উত্তরে যে স্যামুয়েলস সোজা বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করে বসবেন, বোঝা যায়নি।
এরপরই স্টোকসকে উদ্দেশ্য স্যামুয়েলস ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘কোনও শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার আমার সঙ্গে কখনও পারেনি। আমাকে ১৪ দিন দেওয়ার কথা বলছ বন্ধু? তোমার স্ত্রীকে ১৪ দিনের জন্য পাঠিয়ে দাও। ১৪ সেকেন্ডে জামাইকান করে দেব!
ন্যক্কারজনক মন্তব্য বললেও যেটাকে কম বলা হয়। এরপরই স্যামুয়েলসের উপর ফেটে পড়ে ক্রিকেট দুনিয়া। মাইকেল ভন টুইট করে লেখেন, ‘মার্লন তুমি যা করলে, মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সবাই বর্ণবিদ্বেষকে শেষ করতে চাইছি। আর তুমি এভাবে বলে দিলে?
কিন্তু ভনের কথায় কিছু হয়নি। আসল লাগে শের্ন ওয়ার্নের সঙ্গে । ওয়ার্ন টুইট করে লেখেন, ‘এখনই দেখলাম স্টোকসকে কী বলেছে স্যামুয়েলস। ওর ডাক্তার দেখানো দরকার। এই কারণে স্যামুয়েলসের প্রাক্তন সতীর্থরাও কেউ ওকে দেখতে পারে না। তুমি সাধারণ ক্রিকেটার হতেই পারো। কিন্তু তাই বলে কি তোমাকে নিম্নমনের মানুষও হতে হবে?
এরপর ওয়ার্নকেও ছাড়েননি স্যামুয়েলস। তিনি আবার পালটা লেখেন, ‘আমাকে কে জ্ঞান দিচ্ছে? যে কিনা নিজেকে তরুণ দেখানোর জন্য মুখে সার্জারি করিয়েছিল! এখানেই শেষ নয়। এরপর লেখার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তারকা। দেখা যাক, জল কতদূর গড়ায়।