৪টি দল নিয়ে হচ্ছে নতুন টি-20 টুর্নামেন্ট, আশরাফুলের জন্য রয়েছে সুখবর
তবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকলেও শর্তে কিছুটা শিথিল এনেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। কোয়ারেন্টাইনের সাত দিন পর দলীয় অনুশীলন করতে পারবে ক্রিকেটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত এই শর্তে কি রাজি হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড? গুঞ্জন উঠেছে এই শর্তে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে রাজি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তবে যদি শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশ দল না যায় তাহলে কি হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান সময়ে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হলে ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে মনোযোগ দেবে বিসিবি। সে ক্ষেত্রে অনেকেই ধারণা করছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করার।
তবে এই মুহুর্তে বিসিবির পক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কোনো প্রকারেই সম্ভব নয়। বরং বিকল্প হিসেবে বিকেএসপিতে চার দল নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
টুর্নামেন্টের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সহ থাকবেন বাংলাদেশ এইচপি ক্রিকেট দল এবং বাংলাদেশ এ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। আর বাংলাদেশ এ দলের হয়ে এর আগেও আশরাফুল খেলেছে কয়েকটি ম্যাচ। এই টুর্নামেন্ট হলে নিজেকে আবার প্রমাণ করার সুযোগ পাবে।
গতকাল রাতের বাংলাদেশ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘করোনার ভেতরে সবকিছু ম্যানেজ করে ১২ দলকে নিয়ে খেলা সম্ভব না।
তাই শ্রীলঙ্কা সফর না হলে আমরা তিন থেকে চার দলের অংশগ্রহণে একটা টুর্নামেন্ট করার কথা ভাবছি। বিকেএসপই সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাব্য ভেন্যু। সেখানে তিন থেকে চার দলকে একসাথে রাখা যাবে।’
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক যোগ করেন, ‘সেখানেই তো যুব দলের ৪৫-৪৬ জন ক্রিকেটার একসাথে থেকেছে, অনুশীলনের পর তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেললো। কাজেই বিকেএসপিতে আয়োজন করলে সব ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ একই কমপ্লেক্সে থেকে খেলতেও পারবে।’
নান্নু জানালেন, তাদের মাথায় দুই ধরনের চিন্তা আছে। তার ভাষায়, ‘চার দলের অংশগ্রহণে বিসিএলও হতে পারে। আবার জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৭ জন, এইচপির বহর থেকে ক্রিকেটার নিয়ে তিন দল করে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথাও ভাবা হচ্ছে।’