গুরুতর চোট নিয়েও মাঠে নেমেছে ৬ ক্রিকেটার
সেই জয়ের অন্যতম কান্ডারী ছিলেন যুবরাছ।ব্যাটে এবং বলে দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন যুবি।নির্বাচিত হয়েছিলেন ” ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ” ।গুরুতর চোট নিয়ে খেলতে নেমে মাঠে নজির গড়েছেন এই ছয় ক্রিকেটার !
ক্রিকেট দুনিয়ায় এমনই ছয় ঘটনার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে এখানে , যেখানে চোট’ কে উপেক্ষা করে মাঠে নেমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ক্রিকেটারেরা।
৬. ইয়ান বেল-ঃ ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ড সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি ইংল্যান্ড – বাংলাদেশ।প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে সেইদিন বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ২৩৬ রানে।ম্যাচ চলাকালীন একটি ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পান ইয়ান বেল।চোটের গুরুত্ব ছিলো এতোটাই যে পরবর্তী সময়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই তারকা ইংলিশ ব্যাটসম্যান।পরবর্তী সময়ে ব্যাটিং করতে পারেননি বেল।কিন্তু দল যখন হারের মুখে ২২৭ / ৯ ‘এ অবস্থান করছে তখন আর বসে থাকতে পারেননি তিনি।চোট নিয়েই মাঠে নামে, যদিও শেষ অবধি ম্যাচে জিতে যায় ইংল্যান্ড, তবুও ইয়ান বেলের লড়াই সেইদিন প্রশংসিত হয়েছিল ক্রিকেট মহলে।
৫. শচীন তেন্ডুলকর-ঃ ১৯৯৯ সাল।দীর্ঘ ১১ বছর পর পাকিস্তান দল আসে ভারত সফরে।স্বাভাবিক ভাবেই সেই সিরিজ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের উত্তেজনা ছিলো এক অন্যমার্গে।সেই সিরিজে র টেস্টে শাহিদ আফ্রিদির ১৪৯ রানের ইনিংসের জেরে ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় পাকিস্তান।টার্গেট চেজ করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল।৮২ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে মাঠে নামেন চোট প্রাপ্ত শচীন তেন্ডুলকার।পিঠে ব্যাথার সমস্যা নেমে নয়ন মঙ্গিয়া’কে সঙ্গী করে ম্যাচ জেতানোর লড়াই শুরু করেন তিনি।পরবর্তী সময়ে সেই ম্যাচ পাকিস্তান দল ১২ রানে জিতলেও শচীনের খেলা ২৭৩ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস মনে গেঁথে যায় সকল ক্রিকেট প্রেমী মানুষদের।
৪.মাইকেল ক্লার্ক-ঃ ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাউথ আফ্রিকার পেস বিভাগের সামনে ঋতিমতো কঠিন চ্যালেন্জের মুখে পড়েন মাইকেল ক্লার্ক।প্রোটিয়া পেসার মর্নি মর্কেলের বাউন্সারে চোটপ্রাপ্ত হন তিনি।যদিও সেই চোট নিয়েই পরবর্তী সময়ে খেলেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস।তার ৩০১ বলে খেলা ১৬১ রানের ইনিংস সেইদিন ম্যাচ জিততে সাহায্য করে অস্ট্রেলিয়া কে।পাশাপাশি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে তার দেশ।
৩. স্টিভ ওয়া-ঃ ২০০১ সালের এ্যসেজ সিরিজ।এ্যসেজ মানেই সন্মানের লড়াই।যে সন্মানের লড়াইয়ের মুখোমুখি ইংল্যান্ড – অস্ট্রেলিয়া ।ফিট নন স্টিভ ওয়া।তাই তাকে খেলতে নামা থেকে নিষিদ্ধ করেন ম্যাচ ফিজিও।প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে অজি দল।৬৪১ রান করে তারা।চোট নিয়ে খেলতে নেমে অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংস খেলে ওয়া।পরবর্তী সময়ে ৪-১ ব্যাবধানে সন্মানের লড়াই জিতে নেয় তার দেশ।
২. গ্রেম স্মিথ-ঃ ম্যাচ ড্র করতে প্রয়োজন ৮.২ ওভার ব্যাটিং করে যাওয়া।২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে দল যেমন এমন একটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি তখন খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকার স্মিথ।চোট নিয়েই লড়াই করতে নামেন তিনি, অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশকে টেনে তোলেন খাঁদের কিনারা থেকে ।২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জেতে তার দেশ।
১. অনিল কুম্বলে-ঃ ৭ ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ সালে ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে রেকর্ড সৃষ্টি করেন অনিল কুম্বলে ।পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে নেন দশটি উইকেট।এর আগে ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ইংল্যান্ডের স্পিনার জিম লেকার।চোট নিয়ে খেলতে নেমে কুম্বলে’র এই দুরন্ত পারফরম্যান্স জিততে সাহায্য করেছিল ভারত’ কে এই টেস্ট ম্যাচ জিততে।