মুজিবকে দেখে নন-স্ট্রাইকিং থেকে ব্যাটিং শুরু করেছিল তামিম
গত বছর দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে মুজিবকে তামিমের এড়িয়ে ‘চলা’ শুরু! দেরাদুনে প্রথম ম্যাচে ইনিংসের শুরুতেই আফগান স্পিনারের বলে বোল্ড হওয়ার পর পরের দুটি ম্যাচ নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে শুরু করেছিলেন তামিম। সাউদাম্পটনে গত জুনে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও তাই। আজ বিপিএলের ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি।
নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে শুরু করার উদ্দেশ্য, কয়েকটি বল দেখে উইকেট জানা, বোঝা। থিতু হতে নিজেকে আরেকটু গুছিয়ে নেওয়া। যেহেতু আগে মুজিবের বিপক্ষে খুব একটা সফল হতে পারেননি, তামিম একটু সময় নিতে চেয়েছেন। সময় নিয়ে কাজও হয়েছে। একটা সময় তামিম এত ধীরলয়ে এগিয়েছেন, মনেই হচ্ছিল না টি-টোয়েন্টি খেলছেন!
স্ট্রাইকরেট চলে এসেছিল ৭০-এর নিচে। তামিম ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি মেরেছেন সপ্তম ওভারে এসে। পাওয়ার প্লেতে ঢাকা প্লাটুনের রান ২ উইকেটে ২৮ রানের বেশি ওঠেনি এ কারণে। মুজিব যেহেতু দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাঁর ওপর একেবারেই চড়াও হননি তামিম। কুমিল্লার আফগান স্পিনারের ৪টি ওভারই খেলেছেন দেখেশুনে।
তামিম খোলস থেকে বেরিয়ে এসেছেন ১০ ওভারের পর। বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন অন সাইডে—৭০ শতাংশের বেশি রান করেছেন এ দিকেই। জুনে বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফর হয়েছে একেবারেই ভুলে যাওয়ার মতো। সেপ্টেম্বরে দেশের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিলেন বিশ্রাম। ব্যক্তিগত কারণে যাননি ভারত সফরে। লম্বা সময় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেই ভালো করা মোটেও সহজ নয়। বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ৫ রানে আউট হয়েছেন।
আজ (গতকাল) শুরুতেও খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। চতুর্থ ওভারে আল আমিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন, তখন তাঁর রান ৫। সুযোগ পেয়েছেন ফিফটি করার আগেও। তবুও তামিমের বড় প্রাপ্তি—নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছেন।
গত ২০ জুন ট্রেন্টব্রিজে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬২ রানের পর লম্বা বিরতিতে যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে ফিফটি পেলেন। দাসুন শানাকার বলে সাব্বিরের ক্যাচ হওয়ার আগে করেছেন ৭৪ রান। তামিমের ইনিংসটা শুধুই ঢাকা প্লুাটুনকে ভালো স্কোর এনে দেয়নি, সামনে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবেও কাজ করবে।