প্রশ্নপত্র ফাঁসে শিক্ষকরাও জড়িত: শিক্ষামন্ত্রী
এসময় তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে এবং ফাঁসকারীদের ধরতে সমাজের সবস্তরের মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ মিলানায়তনে রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রচলিত শিক্ষানীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। এজন্য বিশ্বমানের শিক্ষা প্রয়োজন। তাই নতুনভাবে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে কোনো দলীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্ঞান গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃজন এবং নিবেদিত প্রাণে জ্ঞান বিতরণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতানুগতিক শিক্ষা নয়, শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর্মদক্ষতা অর্জন।’
মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে এই প্রজন্মের সন্তানদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি অর্জনে সৎ-দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই। যে লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন এর সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কৃতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সচিব সোহরাব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে যেকোনো প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় হ্যাঁ বলেন। শিক্ষাপ্রসারে তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন চবি প্রো-ভিসি ড. শিরিন আখতার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা, বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী ৩৩ শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি পদক দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জনকারী ১৭ শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী ১৬ জনকে দেওয়া হয় সম্মানসূচক পদক।