সুখবর পেলো হাথুরুসিংহে
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সাম্প্রতিক বিবৃতির আগ পর্যন্ত সেই গুঞ্জনই যেন ছিল সত্যির অপেক্ষায়। তবে একটি বিবৃতি জানিয়ে দিয়েছে, হাথুরুসিংহের চাকরি হারানোর গুঞ্জন ছিল কেবলই অনুমান। এসএলসি জানিয়েছে, বিশ্বকাপের আগে দলের কোচিং স্টাফে কোনো পরিবর্তন আসছে না।
২০১৭ সালের শেষদিকে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়ার পর ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন আলোচিত-সমালোচিত কোচ হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবেও তিনি কুড়িয়েছেন অনেক সমালোচনা। দল বাছাইয়ে হস্তক্ষেপ, সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে ব্রাত্য করে তোলা, গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের সাথে দ্বন্দ্ব- এমন একাধিক অভিযোগ আছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের ভরাডুবির মাঝখানেই হাথুরুসিংহেকে দেশে ডাকে বোর্ড। এতে অনুমান করা হচ্ছিলো- তার সাথে বোর্ডের সম্পর্ক বুঝি ছিন্ন হওয়ার পথে! তবে এবার জানা গেল- বিশ্বকাপের আগে দলটির কোচিং স্টাফে কোনো পরিবর্তন আসছে না। অর্থাৎ, চাকরি হারাচ্ছেন না হাথুরুসিংহে; তার কাছেই থাকছে বিশ্বকাপের দায়িত্ব।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভার ভাষ্য, ‘বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে আমরা দলে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে চাইছি না। সবার মাঝেই কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, আশা করি সেটা ঠিকঠাক করে দলকে এগিয়ে নিতে পারব আমরা।’
হাথুরুসিংহের সাথে বোর্ডের কোনো দ্বন্দ্ব নেই- এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য বিশ্বকাপের জন্য সেরা ১৫ জনের দল দাড় করানো। অধিনায়ক কে হবেন, সেটাও ভাবছি। হাথুরুসিংহের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই। আমরা একসাথেই কাজ করব। কিন্তু তাঁর মানে এই না তিনি যা বলবেন সেটাই আমরা মেনে নেব।’
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো এসএলসিকে। সেই ভয়েই হাথুরুসিংহের চাকরি ছিনিয়ে নেওয়া থেকে বিরত থাকা হল কি না- এমন প্রশ্নও উঠতে পারে!