দেশের মাটিতে লজ্জার রেকর্ডে ভারত
সব কিছুকেই ভূল প্রমানিত করে কি লজ্জাটাই না ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের দিল অস্ট্রোলিয়া। টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজও ভারতকে হারিয়ে নিজেদের করে নিল তারা।
প্রায় ২ বছর পর ভারতের ফিরোজ শাহ কোটলা দিল্লির মাঠে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল অস্ট্রোলিয়া।
এদিন আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রোলিয়ার ছুড়ে দেওয়া ২৭৩ রানের টার্গেটে ভারত গুটিয়ে যায় ২৩৭ রানেই। সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে স্টোনিসের ব্যাট থেকে। অস্ট্রোলিয়ার হয়ে জাম্পা নেন ৩টি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া টার্গেট তারা করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় ভারত। মাত্র ১৫ রানে মাথায় ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান বিদায় নেন। প্যাট কামিন্সর বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়ে ১৫ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রোহিতকে নিয়ে ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। তবে ৬৮ রানে মাথায় মার্কাস স্টোনিসের বলে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচে ধরা পড়ে বিদায় নেন। ২২ বলে ২০ করে বিদায় নেন কোহলি।
কোহলির বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৬ রান করেই ফিরে যান রিশাব পান্ত। প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা বিজয় শঙ্করও রোহিতের সাথ দিতে পারেনি।
তিনিও ফিরে যান ১৬ রান করেই। এরপর ৬ষ্ট উইকেটে রোহিতের সঙ্গে জুটি বাধার চেষ্টা করেন যাদব। কিন্তু যাদবকে সঙ্গ না দিয়ে রোহিত ফিরে যান ফিফটির কোটা পুরন করেই।
রোহিতের বিদায়ে জাদেজা ক্রিজে নেমেও টিকলেন না এক ওভার। প্যাভলিয়নের পথে হাটা ধরলেন তিনিও। ১২০ রানের মাথায় ৩ উইকেট থেকে ১৩২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় ভারত।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় দারুণ। দুই ওপেনার ফিঞ্চ ও খাজা মিলে করেন ৭৬ রান। এরপর ফিঞ্চ ২৭ রান করে আউট হলেও হ্যান্ডসকম্ব ও খাজা মিলে দলের রানকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায়।
তবে দলীয় ১৭৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১০০ রান করে খাজার বিদায়ের পরই অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরে ভারতীয় বোলাররা। ১৭৮ রানের মাথায ১ রান করে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়েলও। ৫২ রান করা হ্যান্ডসকম্ব বিদায় নেয় ১৮২ রানের মাথায়।
মুহুর্তেই ব্যাটিং ধ্বস শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার এবং শেষ পর্যন্ত তারা ৯ উইকেটে ২৭২ রানেই থামে। স্টোইনিস ২০, টার্নার ২০, রিচার্ডশন ২৯ ও কামিন্স ১৫ রান করেন। ভারতের পক্ষে ভুবনেশ্বর ৩টি, সামি ২টি, জাদেজা ২টি ও কুলদীপ একটি উইকেট লাভ করেন।