সুনীল নারাইন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনার অলরাউন্ডার কেকেআরের বড় সম্পদ। বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যায় তাকে। গতবার ১৬টি ম্যাচে ৩৫৭ রান করেছিলেন, নিয়েছিলেন ১৭টি উইকেট। প্রয়োজনে ইনিংস শুরু করার ক্ষমতা আছে। দ্রুত রান করতে পারেন।

ক্রিস লিন: অজি ক্রিকেটারটি নিঃসন্দেহে কেকেআরের বড় ভরসা। দ্রুত রান করার ক্ষেত্রে লিনের বিকল্প খুব কমই আছেন। উপরি পাওনা তার অসাধারণ ফিল্ডিং।

রবীন উথাপ্পা:ভারতীয় দল তো বটেই, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতেও তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না। এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। কিন্তু এখনও নাইট সংসারের তিনি অন্যতম সদস্য। বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। তিন নম্বরে সম্ভবত তিনিই থাকবেন।

শুভমান গিল:তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার। নির্বাচকদের সুনজরে রয়েছেন। টি২০ ম্যাচে চার নম্বরের জন্য গিলকে ভাবা যেতেই পারে। গতবার নাইটদের হয়ে ১৩টি ম্যাচে ২০৩ রান করেছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন।

নিতীশ রানা:পর পর দু’বার আইপিএলে নজর কেড়েছেন। ২০১৮ তে কেকেআরের অন্যতম ভরসার ক্রিকেটার ছিলেন। ১৫ ম্যাচে ৩০৪ রান করেছিলেন। এ বছরও রানার দিকে দলের বিশেষ নজর থাকবে।

দীনেশ কার্তিক:কেকেআরের অধিনায়ক কার্তিক এই মুহূর্তে টি২০তে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। গত বার ১৬টি ম্যাচে করেছিলেন ৪৯৮ রান।

আন্দ্রে রাসেল:টি ২০র অন্যতম ভয়ঙ্কর ক্রিকেটার। বল-ব্যাট দু’য়েতেই সমান দক্ষ। যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। গত আইপিএল-এ ১৬ ম্যাচে ৩১৬ রান করেছিলেন।

লকি ফার্গুসন:নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন এ বার নাইট দলের নয়া সদস্য। নিউজিল্যান্ডের এই ডান হাতি পেসারটি দেশের হয়ে একদিনের ম্যাচে নজর কেড়েছেন।

কুলদীপ যাদব:শুধু কেকেআর নয়, এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের বোলিং সম্পদ। ২০১৮’র আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট দখল করেছিলেন।

শিভম মাভি:জাতীয় নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন। কেকেআরের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা। গত বার কয়েকটি ম্যাচে ভাল বল করলেও ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছেন।

কমলেশ নাগারকোটি: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার কমলেশ। জয়পুরের ১৮ বছরের ছেলেটির হাত থেকে প্রায়ই ১৪৫-১৫০ কিমি গতিতে বল বেরোতে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। গত বার চোটের জন্য খেলতে পারেননি। এবারে তার কাছে থেকে ভাল কিছু আশা করবে নাইটরা।

এছাড়াও স্কোয়াডে রয়েছে কার্লোস ব্রাথওয়েট, জো ডেনলি, হ্যারি গুনরির কিত বিদেশী তারকা খেলোয়াড়।