১৭ বছর আগের সেই লজ্জা আজ আবারও পেলো বাংলাদেশ
দুটো হারে কী আশ্চর্যজনক মিল!২০০১ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্য্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম সেই টেস্ট হারের কথা যাদের মনে আছে, তারা মিল দেখে বিস্মিত না হয়ে পারবেন না।
হ্যামিল্টনের সেই টেস্টেও প্রথম দুইদিন খেয়ে ফেলে বৃষ্টি। টস হয়েছিল তৃতীয় দিন সকালে। মানে বৃষ্টি টেস্টটাকে বানিয়ে দিয়েছিল তিন দিনের। কিন্তু হতাশার ষোলকলা পূর্ণ করে তিন দিনে রূপ নেওয়া সেই টেস্টেও বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে।
সোয়া ১৭ বছর পর ওয়েলংটনেও ব্যর্থতার সেই কাব্যই লিখলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। এবারও বৃষ্টি প্রথম দুদিন খেয়ে ফেলায় হলো টস হলো তৃতীয় দিনে। এবারও তিন দিনেই সেই ইনিংস ব্যবধানে হার। পার্থক্য শুধু এতটুকু, ২০০১ সালের সেই হারটা ছিল ইনিংস ও ৫২ রানে। এবারের হারটা ইনিংস ও ১২ রানে।
তিন দিনে তো বলা হচ্ছে। বাস্তবে, এই দুটি টেস্টের একটিতেও বাংলাদেশ পুরো তিন দিন লড়াই করতে পারেনি। ২০০১ সালের সেই হারটা ছিল আসলে সোয়া দুইদিনে। টেস্টের পঞ্চম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিরও আগেই নিভে যায় ম্যাচের আয়ু। এবারের হারটা ঠিক পঞ্চম দিনের (আসলে তৃতীয় দিন) মধ্যাহ্নবিরতির সময়। মানে দুই দিন ও এক সেশনে।
মিল আছে আরও। ২০০১ সালের ওই টেস্টেও নিউজিল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুজনে। এবারও। তবে এখানে একটু পার্থক্য, এবার দুজনের একজন রস টেলর করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। বিপরীতে সেই টেস্টেও দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিল দুটি। প্রথম ইনিংসে ৬১ রান করেছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করেছিলেন আল শাহরিয়ার রোকন।
এবারও দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ হাফসেঞ্চুরি দুটি। প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেছেন ৬৭। চাইলে এরকম আরও মিল হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে সেসব মন খারাপের পাল্টাটাই ভারি করবে