তামিমের এক ফোনে আজকের এই মিরাজ
অথচ আগের টেস্টে চট্টগ্রামে অভিষিক্ত নাঈম হাসান এবং তাইজুল ইসলাম ৫ ও ৬ উইকেট করে পেলেও সেভাবে উইকেট পাননি মিরাজ। দুই ইনিংসে তার শিকার মাত্র ৩ উইকেট। আর ব্যাট হাতে করেন ৪০ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ জয় পায় ৬৪ রানে। দল জিতলেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না হওয়ায় একটু হতাশই ছিলেন মিরাজ। তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে সেদিন রাতেই ফোন করে সাহস জোগান দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
তামিমের সেই উৎসাহে আমূল পরিবর্তন আসে মিরাজের। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করে উইন্ডিজকে ১১১ রানেই অললাউট করেন মিরাজ।
৩৯৭ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅন এড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবীয়দের ৫ উইকেট তুলে নেন মিরাজ। ২১৩ রানে অলআউট উইন্ডিজ। ১৮৪ রানে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্ট জয়ের পর রোববার মিরাজ বলেন, ‘চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ হওয়ার পর রাতে তামিম ভাই আমাকে ফোন করে বলেন, তুই কেমন বোলার আমরা জানি। ভালো বোলিং হয়নি তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কপালে থাকলে তুইও উইকেট পাবি। যদি চিন্তা করিস নাঈম ভালো করছে, তুই কেন পারলি না, তাহলে কিন্তু ভালো বোলার হতে পারবি না। আমার বিশ্বাস তোর ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘ওই রাতে তামিম ভাই আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন। অনেক বেশি সাহস জুগিয়েছেন। তামিম ভাইয়ের সমর্থন আমার কাছে স্পেশাল।’
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় মিরাজের। অভিষেক টেস্ট ইংলিশদের দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দেন মিরাজ।