ইমার্জিং কাপ:পাকিস্তানে বাংলাদেশের সাথে যাবে নিরাপত্তা দলও
পাকিস্তানে যে ম্যাচগুলো পড়েছে সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের খেলাও। সন্ত্রাসীদের হামলায় বারবার পর্যদুস্ত পাকিস্তানে সফর কতটা নিরাপদ হবে সেই প্রশ্ন থাকছেই। তবে দলের নিরাপত্তা বাড়াতে সফরে বাংলাদেশ দলের বহরে যুক্ত হবে নিরাপত্তা দলও।
এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আসরটি আয়োজনে যাতে বেকায়দায় না পড়ে আয়োজকরা এজন্য পাকিস্তানে খেলা প্রসঙ্গে অসম্মতি জানানো হয়নি বলেও জানান তিনি।
বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘ইমার্জিং কাপে পাকিস্তানে দল পাঠানোর আসলে দু’টি ব্যাপার আছে। একটা হলো এই আসর দুই গ্রুপে হবে। আমাদের প্রথম পর্বের খেলাটা পাকিস্তানে। আর আমরা যদি দ্বিতীয় পর্বে যাই, তাহলে শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে। এখানে ভারতের সমস্যা আছে। এখন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশই যদি বলে যে সমস্যা আছে, তাহলে দুইটা গ্রুপ পর্বে আসর আয়োজনটাই কঠিন হয়ে যাবে। আবার শ্রীলঙ্কা ওদের দেশে খেলবে, এখন ওরাও তো চাইবে ঘরের মাঠে খেলতে।’
নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকদের দলের সাথে পাঠানো হবে জানিয়ে পাপন আরও বলেন, ‘এটা ঠিক যে এখানে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে। আমি নিজেও গিয়েছিলাম পাকিস্তানে। সেখানে আমরা নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার মনে হয়নি যে কোনো সমস্যা হবে। তারপরও আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেব এবং সেখানে এমন লোকও পাঠানো হবে যারা নিরাপত্তার বিষয়ে অভিজ্ঞ।’ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে ৬ ডিসেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে যৌথভাবে শুরু হতে যাওয়া এসিসি ইমার্জিং কাপের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে সোমবার বিকেলে।
প্রতিযোগিতাটির এবারের আসরে গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোহান-মোসাদ্দেকদের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের করাচিতে। যার ফলে দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান সফরে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশের কোনো একটি ক্রিকেট দলকে।
প্রতিযোগিতা শুরুর দিন গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে সোহানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এর পরদিন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে দলটি। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের সবকয়টি ম্যাচই করাচিতে খেলবে সোহানরা। গ্রুপ ‘বি’ এর ম্যাচগুলো পাকিস্তানে আয়োজন করা হলেও ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওমানের অংশগ্রহণে গ্রুপ ‘এ’ এর গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতাটির সহযোগী আয়োজক দেশ শ্রীলঙ্কায়।
গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে ১৩ ডিসেম্বর দুটি সেমিফাইনাল ও ১৫ ডিসেম্বর ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইমার্জিং কাপ। গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের অন্তর্ভুক্তিতে আয়োজিত হবে সেমিফাইনাল পর্ব। দুই সেমিফাইনালের পাশাপাশি আসরের ফাইনাল ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে।
আসরে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অনূর্ধ্ব-২৩ দল এবং আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর জাতীয় দল অংশ নেবে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। এছাড়াও তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
একনজরে ইমার্জিং এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল: কাজী নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (সহ-অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মিজানুর রহমান, শফিউল ইসলাম, জাকির হাসান, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি চৌধুরি, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলাম, কাজী অনিক ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং মোহর শেখ।