পৃথিবীর সবচে’ ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা এখন জনমানবহীন
আয়তনে ১৬ একরের এ দ্বীপে যেমন আছে সবুজের সমারোহ, তেমনি আছে কংক্রিটের স্তূপ। শুধু নেই কোনো মানুষ। অথচ ১৯৫৯ সালে ১৬ একরের দ্বীপটিতে বাস করত প্রায় ৬ হাজার মানুষ!
দ্বীপটি আসলে ছিল কয়লার খনি। নিচেই ছিল কয়লার বিশাল স্তর। সেই কয়লার খোঁজ পাওয়া যায় ১৮১০ সালে। আর তোলা শুরু হয় ১৮৮৭ সালে। এর বছর তিনেকের মধ্যেই দ্বীপটি মিতসুবিশি কোম্পানি কিনে নিয়ে শুরু করে এলাহি কাণ্ড।
প্রতিবছর দ্বীপটি থেকে প্রায় ৪ লাখ টন কয়লা তোলা হতো। একপর্যায়ে শ্রমিকদের জায়গা সংকুলানে সমস্যা দেখা দেয়। ১৯১৬ সালে দ্বীপটিতে কংক্রিটের তৈরি একটি ৭তলা ভবন নির্মাণ করা হয়।
হাশিমা দ্বীপে বানানো হয় স্কুল, হাসপাতাল, টাউন হল, কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব হাউস, সিনেমা হল, সুইমিংপুল, পার্লার, বাজার।
১৯৭৪ সালে মিতসুবিশি আনুষ্ঠানিকভাবে খনিটি বন্ধ ঘোষণা করে। এপ্রিলের মধ্যে সব অধিবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়। এভাবে বিশ্বের সবচে’ ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল দেড় দশকের মধ্যেই একেবারে জনমানবহীন হয়ে পড়ে।
২০০৫ সালের আগস্টে নাগাসাকি কর্তৃপক্ষ দ্বীপটিকে পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়। ২০০৯ সালের এপ্রিলে দ্বীপটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
২০১৫ সালে হাশিমা দ্বীপটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো।