এশিয়া কাপে যাদের ওপর ‘স্পটলাইট’ থাকছে
সাকিব আল হাসান : বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিন ফরম্যাটেই ব্যাট-বল হাতে বাংলাদেশকে সেরা পারফরমেন্স উপহার দেন তিনি। ১৮৮ ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫,৪৩৩ রান করেছেন সাকিব। বল হাতে ২৩৭ উইকেট রয়েছে সাকিবের। তাই সাকিবের অভিজ্ঞতা এশিয়া কাপে কাজে দেবে এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করছে সাকিবের পারফরমেন্সের ওপর।
তামিম ইকবাল : ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক। তার মতো ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও হাতে গোনা। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। দেশসেরা এই ওপেনারকে এবারের এশিয়া কাপে সেরার তালিকায় রাখছেন অনেক দেশের বিশ্লেষকরাই।
রোহিত শর্মা : ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রোহিত। ২০৯, ২৬৪ ও অপরাজিত ২০৮। পাশাপাশি ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিকও তিনি। ২০১৪ সালে ইডেন গার্ডেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন। আসন্ন আসরে ভারতের অধিনায়ক রোহিত। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বিশ্রামে থাকায় ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
আসন্ন এশিয়া কাপে রোহিতের পারফরমেন্স ও অধিনায়কত্বের দিকে চোখ থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। অবশ্য ইতোমধ্যে অধিনায়ক হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন রোহিত। তার নেতৃত্বেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ত্রিদেশীয় নিদাহাদ টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে রোহিতের নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছে ভারত।
ফখর জামান : ওপেনিংয়ে পাকিস্তানের নির্ভারতার নাম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ফখর জামান। ১৮ ওয়ানডেতে খেলে ইতোমধ্যে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ৩টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১,০৬৭ রান করেছেন ফখর। সম্প্রতি ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক তিনি। গত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন।
রশিদ খান : আফগানিস্তান দলের ‘প্রাণভোমরা’ লেগ-স্পিনার রশিদ খান। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের কাছে তিনি এক আতংকের নাম।টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজের জাত চিনিয়ে ওয়ানডেতে নিজেকে প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছেন রশিদ। ৪৬ ওয়ানডেতে ১০৮ উইকেট রয়েছে রশিদের। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়ার মধ্যে সেরা হতে রশিদের পারফরমেন্স দিকে তাকিয়েই থাকতে হবে আফগানিস্তানকে।