যাকে দিয়েই লোয়ার অর্ডারে স্লগারের ঘাটতি পূরণ করবে টাইগাররা
তবে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে বড় বাধা, ডেথ বা স্লগ ওভারে দ্রুত রান তুলতে না পারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যার দায়িত্ব থাকে লোয়ার মিডল অর্ডার এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ওপর। আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরতে হতে পারে টাইগারদের। কারণ এখন পর্যন্ত বিগত ৩-৪ বছর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারেননি।
বিগত দশ বছরে ক্রিকেট অনেক বদলে গিয়েছে। একটা সময় স্কোরবোর্ডে ২২০-২৫০ রান করেও স্বস্তিতে থাকতো দলগুলো। আর এখন ৩৫০-৪০০ রানও অনায়াসে তাড়া করে ফেলে যেকোনো দল। এর মূল কারণ নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের দ্রুত রান তুলতে পারা। আর এমনটা হয়েছে টি২০’র মারকাটারি ক্রিকেটের জন্য।কারণ টি-টুয়েন্টি ফরম্যাট চালু হওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের মানসিকতাতেও পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও কোন নির্ভরযোগ্য লোয়ার মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান নেই। হার্ডহিটার পরিচয় খ্যাত ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ফর্মে নেই। নিষেধাজ্ঞার কারণে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। তবে থাকলেও তিনি কতটা ভালো খেলতেন, সেই প্রশ্ন রয়েই যায়। তাছাড়া ওয়ানডেতে সাব্বিরের স্ট্রাইক রেট মাত্র ৯৪। যেখানে আশা করা হয় একজন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ১২০-১৩০। এর আগে নাসির হোসেন ছিলেন লোয়ার মিডল অর্ডারের ভরসা। তাঁর স্ট্রাইক রেটও ১০০’র নীচে।
অথচ একই জায়গায় শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার স্ট্রাইক রেট ১১৩। ভারতের হার্দিক পান্ডিয়ার স্ট্রাইক রেট ১১৭। থিসারা এবং হার্দিকের স্ট্রাইক রেটই বলে দেয় কেন শ্রীলংকা এবং ভারত স্লগ ওভারে বেশি রান তুলতে সফল।
আর এই পজিশনে একজন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের গড় স্ট্রাইক রেট ৭০-৯০ এর মধ্যে। তাই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কেন টাইগাররা শেষের দিকে কেন দ্রুত রান তুলতে পারেন না। আর এ কারণেই ‘ক্লোজ’ ম্যাচগুলোতে হারতে হয় টাইগারদের। আর এই একটি কারণে বাংলাদেশ এখনও কেন বাকি দলগুলো থেকে পিছিয়ে।
এদিকে, সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) থেকে আরিফুল হককে খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। যিনি আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তাকে দিয়েই লোয়ার অর্ডারে স্লগারের ঘাটতি পূরণ করবে টাইগাররা। যার টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে স্ট্রাইক রেট ১২০`র কাছাকাছি। একই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ `এ` দলের হয়ে দ্রুত রান তুলে নিজের নামের পাশে আরেকটি পরিচয় যোগ করেছেন মোহাম্মাদ মিথুন। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৬। দ্রুত রান করতে পারার এই নতুন শক্তির কারণে আরিফুলকে টোপকে লোয়ার অর্ডারের দায়িত্ব পড়তে পারে মিথুনের ওপর।
তাই প্রশ্নটা চলেই আসে আসন্ন এশিয়া কাপে লোয়ার অর্ডারে বাংলাদেশি বিস্ফোরণ হবে তো?