জাতীয় দলের দুর্গম পথে আশরাফুল
আর আশরাফুল জানিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। গত মৌসুমে ঢাকা লীগে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। টানা তিনটি শতক সহ মোট পাঁচটি শতক করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। যা বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এক লীগে প্রথম।
'অবশ্যই এটা শুধু নান্নু ভাই না। এটা আমিও জানি। আমাকে বাংলাদেশ দলে খেলতে হলে এক্সট্রাঅর্ডিনারি পারফর্মেন্স দিতে হবে। যেটা আমি ঢাকা লীগে গত বছর করেছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লীগে পাঁচ সেঞ্চুরি, টানা তিনটি সেঞ্চুরি।
'অবশ্যই আমাকে বাংলাদেশ দলে খেলতে হলে এমন কিছুই করতে হবে। আমি ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের সাথে বাদ পড়ার পর ২৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলে ফিরেছিলাম। আমি সবসময় বিশ্বাস রেখেছি, আমি বাংলাদেশের হয়ে খেললে আলাদা কিছু করব, তারপর হয়তো বা আমি আলোচনায় আসব।'
আগামী মাস থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লীগেও নিজের পারফর্মেন্স ধরে রাখতে চান আশরাফুল। বড় বড় ইনিংস খেলে আলোচনায় আসতে চান দেশের সাবেক এই অধিনায়ক। হতে চান ধারাবাহিক পারফর্মার।
এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বারের মতো শুরু হওয়া বিপ টেস্টে সবার উপরে ১১.৪ পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি। নিজের এমন পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট আশরাফুল। তবে বিশ্বাস করেন উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। আর সে অনুযায়ী কাজ করে দেশের জন্য আরও অনেক বছর খেলতে চান ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
'আমি আসন্ন এনসিএলে সুযোগ পেলে ১০০ রান করলে সেটাকে ১৫০ রানে রুপান্তর করার চেষ্টা করব। স্টার্ট পেলে বড় বড় ইনিংস খেলা লক্ষ্য থাকবে। তখনই আসলে বিবেচনায় আসা যাবে। ফিটনেস লেভেল নিয়ে যেটা বলেছে, আমি আজ ১১.৪ পেয়েছি।
'আমি মনে করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিটনেসের মান এমনই হয়। আরও উন্নতি করতে পারব, এটা আমার বিশ্বাস। যদি আমি সেই সুযোগ সুবিধা পাই। বাংলাদেশ দলে খেলতে হলে সেই রকম পারফর্মেন্স করেই আমি আসব। আমি শুধু দলে ফেরার জন্য ফিরতে চাই না। আমি প্রচুর রান করে লম্বা সময় ধরে খেলতে চাই।'